সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর ঝড় ‘ড্যানিয়েল’-এর ধাক্কায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রকৃতির রুদ্ররোষে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ডারনা শহরের। চারদিকে শুধু মৃতদেহের স্তূপ, স্বজনহারা কান্না। খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে একের পর এক বাড়ি। কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ডারনা প্রশাসনের।
লিবিয়ার (Libya) বন্দর শহর ডারনার মেয়র আবদুল মেনাম আল-গাইথি সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল আরবিয়াকে জানিয়েছেন, “ভয়াবহ বন্যায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ডারনা শহর। এই শহরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।” আশঙ্কা প্রকাশ করে মেয়র জানিয়েছেন, “গোটা শহরে যেভাবে কাদাজলে সারি সারি মৃতদেহ ভাসছে তাতে ব্যাপক সংক্রমণের ভয় রয়েছে।” ভয়ঙ্কর এই দুর্যোগের পর আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্য চেয়েছে লিবিয়ার প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মিশর, তুরস্ক এবং কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে উদ্ধারকারী দল সহায়তায় জন্য পৌঁছেছে।
[আরও পড়ুন: মেক্সিকোর পার্লামেন্টে এলিয়েনের দেহাবশেষ! ছবি দেখে মুখ খুলল নাসা]
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিস উপকূলে ভূমধ্যসাগরের উপর তৈরি হয়েছিল ঝড় ‘ড্যানিয়েল’। যার পর রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয় গ্রিসে। পরে তা লিবিয়ায় আছড়ে পড়ে। ১০ সেপ্টেম্বর সেখানে তীব্রতর হয় ঘূর্ণিঝড়। সঙ্গে শুরু হয় একাটানা ভারী বৃষ্টিপাত। ড্যানিয়েলের জেরে লিবিয়ার বিভিন্ন অংশে ১৫০ থেকে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে যেমন হড়পা বানের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই ঝড়ের তাণ্ডবে আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো বেশ কিছু শহর লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। ঝড়ে সব মিলিয়ে তিনটি নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হয় বিপত্তি আরও বাড়ে। জলের তোড়ে বহু বসতি এলাকা ভেসে গিয়ে পড়ে সমুদ্রে।