সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরক্কোয় (Morocco) মৃত্যুমিছিল চলছেই। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২ হাজার। জখম অন্তত আরও ২ হাজার। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকার্য। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে মরক্কোর এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে প্রায় সকল রাষ্ট্র। আর্থিক সাহায্য থেকে উদ্ধারকার্যে প্রযুক্তিগত সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তারা। শোকপ্রকাশ করেছেন তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। শোকপ্রকাশের জন্য শনিবার প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধকারে ঢেকেছিল গোটা আইফেল টাওয়ার। শুধু শোকপ্রকাশ নয়, প্যারিস প্রায় ৫ লক্ষ ইউরো আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে। এমনকী, মরক্কোর ‘শত্রু’ প্রতিবেশী আলজিরিয়া। দুবছর আগে আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিমের ছোট্ট রাষ্ট্র মরক্কোর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল তারা। কিন্তু এমন দুর্দিনে তারাও এগিয়ে এসে মরক্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে বলে খবর। সেখান থেকে ত্রাণসামগ্রী এসেছে।
[আরও পড়ুন: G-20: বহু প্রতীক্ষীত মুক্ত বাণিজ্যে রাজি দিল্লি-লন্ডন, জি-২০’র মাঝে সফল বৈঠক মোদি-সুনাকের]
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। দেশকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। বিদেশি সাহায্যের পাশাপাশি দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে ন্যূনতম সাহায্য়ের আরজি জানিয়েছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মহম্মদ। ভূমিকম্পের সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। সেখান থেকেই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন।
রাত তখন সাড়ে ১১টা। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কো। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। উৎসস্থল ছিল মরক্কোর মারাকাশের ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মুহূর্তে খেলনা বাড়ির মতো ভেঙে পড়ে ছোট বড় অসংখ্য ইমারত। কিছু বোঝার আগেই ভারী কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে মারা যান অসংখ্য মানুষ। বিধ্বংসী এই কম্পনের জেরে ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে UNESCO হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত ঐতিহাসিক মারাকেশ শহরকে ঘিরে থাকা লাল দেওয়াল।