সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে (Turkey-Syria Earthquake) মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২১ হাজার। এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমে হওয়া ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এবারের বিপর্যয়। আহত প্রায় ৭২ হাজার। এছাড়াও হাজার হাজার গৃহহীন মানুষ ঠান্ডা ও খিদেয় অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবারই সিরিয়ায় আসছেন WHO’র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়াসুস।
এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তবে ধ্বংসস্তূপ থেকে যাঁদের বের করে আনা হচ্ছে তাঁদের প্রায় সকলেই মৃত। বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যার পাশাপাশি প্রবল শৈত্য ও খিদের জ্বালায় জ্বলছেন ভূমিকম্পে গৃহহারা মানুষেরা। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ হাজার ৫১-তে। এর মধ্যে সিরিয়াতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। বাকিরা তুরস্কে। আহতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৭৯।
[আরও পড়ুন: জমি নিয়ে অর্মত্য সেনকে ফের নোটিস দিয়েও ফিরিয়ে নিল বিশ্বভারতী, কারণ ঘিরে ধন্দ]
তুরস্ক ও সিরিয়ার মানুষের অভিযোগ, উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বণ্টন ঠিকভাবে হচ্ছে না। আসলে ভূমিকম্পের অভিঘাতে সড়কপথ কার্যতই বিপর্যস্ত। তার উপর চলছে শৈত্য প্রবাহ। এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ভূমিকম্পে বাঁচলেও শীত আর খিদে জ্বালায় মরতে হবে তাঁদের। কোথাও কোথাও খাবার জলটুকু মিলছে না। বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্দোয়ানকে হতাশার সুরে বলতে দেখা গিয়েছে, সব জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না উদ্ধারকারী দল।এদিকে ভারত- সহ বহু দেশই সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার দিকে। ভারতের প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে সেখানে।