সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে চলেছে আমেরিকা (USA)। তাই জনমত টানতে তীব্র হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প বনাম জো বিডেন বাগবিতণ্ডা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক তরজা। এবার পরোক্ষে বিডেনের বিরুদ্ধে মাদকসেবনের অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। বিডেনও জনসমক্ষে ট্রাম্পকে ‘মূর্খ’ বলে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তাই তর্ক সভার নিয়মে আমূল পরিবর্তন আনল প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট কমিশন। ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে মুখোমুখি হবেন দুই প্রার্থী। নতুন নিয়মে এটাই শেষ দফার বিতর্ক। একজনের বক্তব্যের সময় মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে অপর প্রার্থীর। তবে সঞ্চালকের ক্ষেত্রে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে খবর।
[আরও পড়ুন: মহাকাশে যুদ্ধের দামামা, চিন-রাশিয়াকে নজরে রেখে স্পেস সেন্টার বানাচ্ছে ন্যাটো]
ডিবেট কমিশন জানিয়েছে, মোট ছ’টি বিষয়ে বিতর্ক হবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর মধ্যে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ মিনিট। প্রথমে দু’মিনিট করে বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন দুই প্রার্থী। একজন যখন বক্তব্য রাখবেন, তখন বিপক্ষ প্রার্থীর মাইক বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তীতে লোচনার সময় অবশ্য তা চালু থাকবে। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর ক্লিভল্যান্ডের বিতর্কসভার পুনরাবৃত্তি হলে মাইক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সঞ্চালিকা-সাংবাদিক ক্রিস্টেন ওয়েলকার। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে জো বিডেনের বক্তব্যের সময় বারবার বাধা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নাম ধরে ডাকা, অপমানসূচক মন্তব্য, বাদ যায়নি কিছুই। যা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ডেমোক্র্যাট শিবির। শেষ বিতর্কে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হোক, তা চায় না কমিশন। তাদের দাবি, দুই শিবিরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তে তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। জনগণের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। অবশ্য ন্যাশভিলের বিতর্ক-মঞ্চে ট্রাম্প আর ক্লিভল্যান্ডের ভুল করবেন না বলে মত রিপাবলিকানদের। তাদের আশা, চূড়ান্ত বিতর্কে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সংযত থাকবেন।
জানা গিয়েছে, আগামী বিতর্কের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে- করোনা মোকাবিলা, মার্কিনিদের পরিবার, বর্ণবিদ্বেষ, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং নেতৃত্ব। এই বিষয়গুলির উপর বিতর্ক চলবে ৯০ মিনিট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শেষপর্বের তালিকায় থাকছে না ‘বিদেশনীতি’। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রিপাবলিকান শিবির। ট্রাম্পের প্রচারের মূল কাণ্ডারী বিল স্টিফেনের অভিযোগ, বিডেনকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই বিতর্কের বিষয় পরিবর্তন করেছে কমিশন। প্রসঙ্গত, যতই দিন যাচ্ছে, মসনদে ফেরার লড়াই ততই কঠিন হয়ে পড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সম্প্রতি একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদন সামনে এসেছে। যাতে জানা গিয়েছে, করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সবকিছু জেনেও ইচ্ছা করে মার্কিন নাগরিকদের ভুল তথ্য দিয়েছিলেন ট্রাম্প। একই অভিযোগ করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসও। পাশাপাশি, বিভিন্ন যুদ্ধ ও সন্ত্রাসদমন অভিযানে আহত ও নিহত মার্কিন সেনাদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় ট্রাম্প ‘হাঁদা’ ও ‘হেরো’ বলে মন্তব্য করছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই ইয়াহু নিউজ ও ইউগভ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন (Joe Biden) -এর তুলনায় ট্রাম্প প্রায় দশ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছেন।