অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ডেবরায় মহিলাকে নেড়া করার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বধূর স্বামী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের জন্য নয় এক যুবকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই কারণেই সকলের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। যার জেরে মহিলা গ্রামে ফিরতেই অশান্তি শুরু হয়। মারধর ও হেনস্থার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ জন। তবে এখনও হদিশ মেলেনি ওই বধূর।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার (Debra) মলিঘাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের চকঅনন্ত গ্রামের বাসিন্দা ওই বধূ। ১২ বছর আগে দাসপুরের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দুই সন্তানকে নিয়ে দম্পতির অভাবের সংসার। সন্তানদের মুখ চেয়ে রোজগারের তাগিদে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, সেই কারণেই বাড়ি ফিরতেই হামলা চালানো হয় তাঁর উপর। যদিও পরে প্রকাশ্যে এসেছে অন্য তথ্য। বধূর স্বামীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁর মা। তিনি দাবি করেন, জামাইয়ের সন্দেহ ছিল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী। সেই কারণেই প্রতিবেশীদের উসকে ছিল। সেই কারণে এই হামলার ঘটনা।
[আরও পড়ুন: মরশুমের গোড়াতেই জালে টন টন ইলিশ! রুপোলি শস্যে আশা দেখছেন ডায়মন্ড হারবারের মৎস্যজীবীরা]
এদিকে বধূর স্বামীর দাবি, স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে দিন পনেরো আগে। সেই কারণে তার সমস্যা হচ্ছিল। সেই বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার দাবি স্ত্রীকে অত্যাচার করতে বলা হয়নি। বধূর জা বলেন, “ফিরে আসার পর ওকে স্বামীর সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ও থাকতে চায়নি। বরং বলে আমার স্বামী যা পারে করুক। তারপরই এই ঘটনা ঘটেছে।” এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর গৃহবধূর খোঁজ শুরু করেছে ডেবরা থানার পুলিশ।
ডেবরার বিডিও শিঞ্জিনী সেনগুপ্ত বলেছেন, “ঘটনাটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে খোঁজ নিচ্ছি।” অপরদিকে ডেবরার বিধায়ক তথা রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হুমায়ূন কবির বলেছেন, “ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশকে বলা হয়েছে ভাল করে খতিয়ে দেখতে।”