সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) নবরাত্রিতে ‘শস্ত্র পূজা’ (Shastra Puja) করলেন দার্জিলিংয়ের সুকনা ওয়ার মেমোরিয়ালে (Sukna War Memorial)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। এদিন তিনি সীমান্তেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে দশেরা উদযাপন করবেন। লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি এসে রাজনাথের এই ‘শস্ত্র পূজা’-কে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন পুজোর পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতের সাহসী যোদ্ধারা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা চাই, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা শেষ হোক এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আমাদের সেনা কাউকে আমাদের ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করতে দেবে না। ইতিহাস মনে রাখবে ভারতীয় সেনার সাহসকে।’’
দু’দিনের সফরে শনিবার রাজনাথ দার্জিলিংয়ের কাছে সুকনায় সেনাঘাঁটিতে পৌঁছান। শনিবার সুকনার সদর দপ্তরে পৌঁছে সেখানে সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ৩৩ কর্পসের জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এখান থেকে সিকিম যাওয়ার কথা তাঁর। লাদাখের উত্তেজনার পর থেকে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ সহ সীমান্তরেখার প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিমি অঞ্চলে সেনার অবস্থান আরও জোরালো করা হয়েছে। চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। জানা যাচ্ছে, রাজনাথ এদিন চিন সীমান্তের কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। সূত্রের দাবি, ওই অঞ্চলগুলি দিয়ে অনুপ্রবেশের ছক কষছে লালফৌজ।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মধ্যেই মিলছে স্বস্তি! আরও কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা]
সীমান্তে চিনের আগ্রাসন ঘিরে পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ। তারই প্রেক্ষাপটে রাজনাথ সিংয়ের এই পুজো। প্রসঙ্গত, গতবার ফ্রান্স থেকে রাফাল বিমান দেশে পোঁছনোর আগে সেদেশেই ‘শস্ত্র পূজা’ করেছিলেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরেই রাজনাথকে এই পুজোয় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ইতিহাসের পাতায় অবশ্য এর আগেও এই পুজোর নজির রয়েছে। ১৯৪৮ সালে ১৪ মার্চ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু নৌবাহিনীতে শামিল হওয়া নতুন রণতরীর উদ্বোধন করেছিলেন। সেই সময় তিনিও ‘শস্ত্র পূজা’ করেছিলেন। প্রাচীনকালে যোদ্ধারা এই পুজো করতেন বলে জানা যায়।