সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত (India) ও চিন (China)। তারপর থেকেই একটা যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে আসুন দেখে নিই কার কাছে কী রয়েছে-
ভারতের শক্তি
মোট সক্রিয় সেনা ১৩ লক্ষ। রিজার্ভে রয়েছে আরও ১১ লক্ষ। পরমাণু অস্ত্র ১৫০টি। ট্যাঙ্ক ৪,০৫০টি। আর্টিলারি ৫,১০০। সাঁজোয়া গাড়ি সাত হাজার। যুদ্ধবিমান ৮৫০টি। যুদ্ধ হেলিকপ্টার ৭২৫টি। মালবাহী বিমান ৪০০টি। বিমানবাহী রণতরী দু’টি। যুদ্ধজাহাজ ২১৪টি। সাবমেরিন ১৫টি।
চিনের শক্তি
মোট সক্রিয় সেনা ২২ লক্ষ। রিজার্ভে রয়েছে আরও ৮ লক্ষ। পরমাণু অস্ত্র ২৬০টি। ট্যাঙ্ক ৭,৭৬০টি। আর্টিলারি ১০ হাজার। সাঁজোয়া গাড়ি আট হাজার। যুদ্ধবিমান ১৪০০টি। যুদ্ধ হেলিকপ্টার ১২০০টি। মালবাহী বিমান ৬৩০টি। বিমানবাহী রণতরী দু’টি। যুদ্ধজাহাজ ৭৮০টি। সাবমেরিন ৭৬টি।
[আরও পড়ুন: সাবাশ ভারতীয় সেনা! চিনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লাদাখে বেইলি ব্রিজ বানাল ভারত]
বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রীনগর, লেহ-সহ প্রতিটি বায়ুসেনা ঘাঁটিকে চূড়ান্ত সতর্ক করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। রাশিয়া থেকে কেনা হচ্ছে আরও ৩৩টি যুদ্ধবিমান। সীমান্তে শুরু এয়ার ডমিন্যান্স বা ‘যুদ্ধবিমানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি’। চিনুক কার্গো হেলিকপ্টার, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, পি-৮ সার্ভিল্যান্স এয়ারক্র্যাফ্ট (নজরদার বিমান) এবং আইএল-৭৬ স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টার-ও (মালবাহী বা কার্গো বিমান) গুলি সক্রিয় ও রেডি টু ফ্লাইট মোডে। হাই অ্যালার্ট করা হয়েছে নৌবাহিনীকে। মালাক্কা প্রণালীতে চিনা সাবমেরিন বা যুদ্ধজাহাজের আনাগোনা বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিনা সেনাদের বাধা উড়িয়ে গালওয়ান নদীর উপরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৬০ মিটার লম্বা একটি বেইলি ব্রিজ তৈরির কাজ সাফল্যের সঙ্গে বুধবার শেষ করেছেন ভারতীয় সেনার ইঞ্জিনিয়াররা।
[আরও পড়ুন:‘ভারতের জমি চিনের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’, লাদাখ ইস্যুতে বিস্ফোরক রাহুল]
The post লাদাখে যুদ্ধের উত্তাপ, দেখে নিন শক্তির নিরিখে ভারত ও চিন কোথায় দাঁড়িয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.