shono
Advertisement

Afghanistan Crisis: প্রবল সমালোচনার মুখে ‘দায় স্বীকার’করলেও আফগানিস্তান সিদ্ধান্তে অনড় বাইডেন

আফগানিস্তানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চলবে, ঘোষণা বাইডেনের।
Posted: 09:08 AM Sep 01, 2021Updated: 09:08 AM Sep 01, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়।’ আফগান জনতার এখন ঠিক এই অবস্থা। ‘স্বপ্নের দেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে আমেরিকা (America) এখন ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী পার।’ যুদ্ধজর্জর দেশটিতে এখন শুধু বারুদের গন্ধ। আর ঘরে ও বাইরে প্রবল সমালোচনার মধ্যে আফগানভূমের এই পরিণামের ‘দায় স্বীকার’ করলেও সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমার মাতৃভূমি ক্লান্ত’, রিফিউজি ক্যাম্পে আফগান গায়কের গান শুনে চোখে জল নেটিজেনদের]

মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অরাজক পরিস্থিতির নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বাইডেন বলেন, “এই সিদ্ধান্তের সব দায়িত্ব আমার। কেউ কেউ বলবেন এটা আরও আগে শুরু হওয়া উচিত ছিল। তাতে অবশ্য আমি একমত নই। তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার করলে সে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত। আমার বিশ্বাস, এটা নির্ভুল, বিচক্ষণ এবং সেরা সিদ্ধান্ত। আমেরিকানদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যুদ্ধ শেষ করব। তাকে সম্মান করেছি। এই যুদ্ধটা অনন্তকাল চালিয়ে যেতে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। এই সিদ্ধান্তের (সেনা সরানোর) দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। তবে যুদ্ধের শেষে উদ্ধার কাজে চ্যালেঞ্জ থাকবেই। আমরা অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছি।”

মার্কিন জনতার একাংশ ও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন যে তড়িঘড়ি মার্কিন সেনা ফিরে যাওয়ায় আজ আফগানিস্তান তালিবানের (Taliban) দখলে। তাদের বক্তব্য, ২০ বছর ধরে লড়াই চালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেও হামিদ কারজাই ও আশরফ ঘানির সরকার আসলে ছিল প্রবল দুর্নীতিপরায়ণ। কাগজে কলমে আফগান ফৌজের সংখ্যা ৩ লক্ষ হলেও ময়দানে সেই সংখ্যা কতটা ছিল তা নিজেরাই জানতেন না দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে থাক কমান্ডাররা। আর এই সব বিষয়ে নজর না রাখাই হচ্ছে মার্কিন ইন্টেলিজেন্স ফেলিওরের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখনও সে দেশে বেশ কয়েকজন আমেরিকান নাগরিক ও ‘বন্ধু’ আফগান আটকে রয়েছেন। কাবুল বিমানবন্দর থেকে শেষ মার্কিন বিমানটি চলে যাওয়ায় তাঁদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এর দায় নিতে হবে বাইডেনকে।

এদিকে, আফগানিস্তান থেকে সেনা সরালেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, “ময়দানে মার্কিন বুট (সেনা) না থাকলে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চলবে।” তবে সবমিলিয়ে, আফগানিস্তানে অরাজক পরিস্থিতির নিয়ে নিজের সমর্থনে যুক্তি খাঁড়া করলেও দায় নিতেই হবে বাইডেনকে।

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পৌঁছল মার্কিন সেনার একাংশ! ‘সাময়িক’ বলে দাবি ইমরানের মন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement