বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: কেন জেলের মধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘরি গ্রেপ্তার করতে হল? তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে জবাব তলব করল দিল্লি হাই কোর্ট। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। সাতদিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি 'বেআইনি'। চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvnind Kejriwal)। হেফাজতে থাকাকালীন এইভাবে কোনও তদন্তকারী সংস্থা একই মামলায় একই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারে না বলে কেজরিওয়ালের দাবি।
[আরও পড়ুন: ‘হিংস্র তারাই, যারা…’, রাহুলের ‘হিন্দু’ মন্তব্যে ময়দানে পয়গম্বর বিতর্কে ‘বরখাস্ত’ নূপুর]
আবগারি মামলায় তাঁর জামিনে স্থগিতাদেশ আসতেই জেলে গিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই (CBI)। এর পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়। সেই সময়সীমা কেটে গিয়ে এখন তিনি ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। লোকসভা ভোটের প্রায় মাসখানেক আগে গত ২১ মার্চ ইডির হাতে আবগারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনের মাঝে তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত হন। তবে ভোট শেষেই তাঁকে আবার জেলে ফিরে যেতে হয়। এরই মধ্যে ইডির মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি তার বিরোধিতা করে এবং জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চায়। তাদের আবেদন আদালত মেনে নেওয়ায় আপাতত জামিন আটকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই সিবিআই জেলে গিয়ে আবগারি মামলাতেই অরবিন্দ কেজরিবালকে গ্রেপ্তার করে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরিবালকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণে হট্টগোল বিরোধীদের, স্লোগানের মধ্যেই দুর্নীতি-তোষণ নিয়ে সরব মোদি]
গত শনিবারই সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় তাঁকে ফের আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত (Delhi High Court) কেজরিওয়ালকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলে থাকবেন তিনি। এখন সিবিআইয়ের জবাব ও আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে কেজরির ভবিষ্যত।