সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভগবান শিব আমাদের সুরক্ষা দেন। ঈশ্বরের কোনও সুরক্ষার প্রয়োজন নেই। দিল্লির যমুনা ফ্ল্যাডপয়েন্টে একটি অনুমোদনহীন শিব মন্দির ভাঙার অনুমতি দিয়ে এমনই পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)।
যমুনা নদীর তলদেশ এবং প্লাবনভূমি অঞ্চলে আগামী দিনে বন্যা প্রতিরোধ করতে পুরো এলাকাকে নতুন করে সাজাচ্ছে প্রশাসন। ওই এলাকার বহু বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি। ভাঙা পড়েছে একাধিক ধর্মস্থান। গীতা কলোনির তাজ এনক্লেভের কাছেও প্রাচীন একটি শিব মন্দির ভাঙার নোটিস দিয়েছিল দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি। যার প্রতিবাদ করে মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রাচীন শিব মন্দির এবং অখণ্ড সমিতি। তারা দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির নোটিসের পালটা দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেন।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে বিমান, সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দৌড়তে শুরু করলেন যাত্রী! তার পর?]
প্রাচীন শিব মন্দির এবং অখণ্ড সমিতি দিল্লি হাই কোর্টে দাবি করে, এই মন্দির ভাঙা ঠিক হবে না। এটা ভগবান শিবের সুরক্ষার প্রশ্ন। এই মামলায় ভগবান শিবকেও একটা পক্ষ করা উচিত। কিন্তু হাই কোর্ট মন্দির পরিচালন সমিতির সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটিকে মন্দির ভাঙার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি ধর্মেশ শর্মার পর্যবেক্ষণ, "যমুনার বন্যা অধ্যুষিত এলাকায় সব অনুমোদনবিহীন নির্মাণ ভেঙে সাফ করা হলে ভগবান শিব আরও খুশিই হবেন।"
[আরও পড়ুন: ‘অল আইজ অন রাফা’, সোশাল মিডিয়ায় হঠাৎ কেন ট্রেন্ডিং এমন বাক্য?]
আদালতের পর্যবেক্ষণ, "মামলাকারীরা একটা অসম্পূর্ণ আবেদন করে কোনওরকমে ঈশ্বরকে এই মামলার পক্ষ হিসাবে দেখিয়ে বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন। এটা নিশ্চয়ই বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না যে, ঈশ্বরের সুরক্ষার প্রয়োজন পড়ে না। আমরা ঈশ্বরের কাছে সুরক্ষা প্রার্থনা করি। তাঁর আশীর্বাদ চাই।"