সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নৃশংস এক হত্য়ার সাক্ষী থাকল দিল্লি (Delhi)। প্রেমদিবসেও ফিরে এল শ্রদ্ধাকাণ্ডের স্মৃতি। ধাবার ফ্রিজের ভিতর থেকে উদ্ধার হল রেস্তরাঁ মালিকের প্রেমিকার টুকরো-টুকরো দেহ। পুলিশের দাবি, খুনের দিনই আরেক মহিলাকে বিয়ে করে অভিযুক্ত যুবক। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির নজফগড় এলাকায়। ইতিমধ্যে ধাবা মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধাবা মালিকের নাম সাহিল গেহলট। নিক্কি যাদবের সঙ্গে সাহিলের বহুদিনের সম্পর্ক। দুজন লিভ ইনে থাকত। প্রেমিকের বিরুদ্ধেই প্রেমিকাকে খুন করে দেহ ফ্রিজে ভরে রাখার অভিযোগ উঠেছে। খুন করে প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। মনে করা হচ্ছে দিন দুয়েক আগেই তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ধাবার বিরাট ফ্রিজে দেহ ভরে রেখে দিয়েছিল সাহিল।
[আরও পড়ুন: SSC Scam: ‘বিদ্যাসাগর এগিয়েছিলেন, পার্থ শিক্ষাকে পিছিয়েছেন ১০০ বছর’, আদালতে মন্তব্য ইডির]
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক বিক্রম সিং জানিয়েছেন, সাহিলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। কিন্তু প্রেমিকাকে নয়, অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাইছিল সাহিল। সে কথা জেনে যেতেই প্রেমিকাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল তিনি। এরপরই খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রেখেছিল। আবার খুনের দিনই অন্য মহিলাকে বিয়ে করে সাহিল। প্রেমদিবসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত সাহিল। তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ।
এই ঘটনা আরও একবার শ্রদ্ধা ওয়ালকারের হত্যার স্মৃতি উসকে দিল। ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক তথা লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। এরপর দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক। এবার সেই দিল্লিতে প্রণয়ঘটিত অশান্তির জেরে খুন হলেন আরেক তরুণী।