সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি বা দু’টি নয়, ৩০টি শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুন করেছিল সে। অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির (Delhi) আদালত। পুলিশ আদালতের কাছে আরজি জানিয়েছে, যেন সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হয় দোষী রবীন্দ্র কুমারকে।
উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে দিল্লিতে কাজ করতে আসা ওই ব্যক্তি ২০০৮ সালে দিল্লিতে আসে। পরবর্তী বছর সাতেক ধরে লাগাতার সে তার ঘৃণ্য অপরাধ চালিয়ে গিয়েছে। আর দু’সপ্তাহের মধ্যেই তার সাজা ঘোষণা করবে আদালত। জানা যাচ্ছে, দোষী ব্যক্তির বাবা একজন কল মিস্ত্রি। তার মা পরিচারিকার কাজ করতেন। উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ থেকে জীবিকার সন্ধানে দিল্লি আসে রবীন্দ্র। সেখানে এক নির্মীয়মাণ বাড়িতে শ্রমিকের কাজও পেয়ে যায় সে। সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যায় যে বসতিতে সে থাকত, সেখানে ফিরে নেশায় ডুবে থাকত রবীন্দ্র। সেই সঙ্গে বুঁদ হয়ে থাকত পর্নোগ্রাফিতে। তারপর ঘুম থেকে উঠে মাঝরাতে ‘শিকার’ খুঁজতে বেরোত।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে ভোটের পর ভোটাররা পাবেন বিনামূল্যের খাবার, অনুমতি দিল হাই কোর্ট]
একের পর এক নাবালক-নাবালিকা তার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ৬ থেকে ১২ বিভিন্ন বয়সিদের উপরে সে নির্যাতন চালিয়েছে। তারপর তাদের খুন করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। পুলিশি জেরায় সে কবুল করেছে, কখনও কখনও ‘শিকার’ খুঁজতে ৪০ কিলোমিটারও পাড়ি দিয়েছে সে!
২০১৫ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় দিল্লির রোহিণীর সুখবীর নগর বাসস্ট্যান্ড থেকে। ৬ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল রবীন্দ্র। তারপর তার গলা কেটে ফেলে দিয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কে। সেই ঘটনায় সে গ্রেপ্তার হতেই জেরার মুখে মুখে সমস্ত অপরাধ কবুল করে রবীন্দ্র। জানায়, কীভাবে দশ টাকা ও চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুদের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে কীভাবে তাদের ধর্ষণ করত সে।