সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পুলিশের জালে লালকেল্লা (Red Fort) হিংসার অন্যতম মুখ ‘তরোয়ালধারী’ মনিন্দর সিং। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে আরও এক কালো অধ্যায়ের রচনা করে লালকেল্লায় ‘খান্ডা’ (এক ধরনের তরোয়াল) ঘুরিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ওই ‘নিহাঙ্গ’ শিখ।
[আরও পড়ুন: নাৎসিদের মতো রাম মন্দিরের জন্য টাকা না দেওয়া বাড়ি চিহ্নিত করছে RSS: কুমারস্বামী]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পশ্চিম দিল্লির পিতমপুরা এলাকা থেকে মনিন্দরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। স্বরূপনগরে ধৃতের বাড়ি থেকে দু’টি তরোয়াল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের নামে ২৬ জানুয়ারির বেনজির হিংসায় গায়ক-অভিনেতা দীপ সিধুর গ্রেপ্তারির পর এটা বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দিল্লি হিংসার নেপথ্যে রয়েছে খলিস্তানি সংগঠনগুলির হাত। ধৃতের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ সংগঠনের যোগ রয়েছে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। কৃষক আন্দোলনের নামে দেশকে অশান্ত করে তোলার নেপথ্যে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এবার সেই দিশায় জোরদার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসেই কৃষকদের হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গায়ক-অভিনেতা দীপ সিধুকে। পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও এক অভিযুক্ত ইকবাল সিংকেও। তারপর থেকেই লাগাতার অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। দীপের আরও দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। এর মধ্যে একজন যুগরাজ সিং (Jugraj Singh)। যাঁর বিরুদ্ধে লালকেল্লায় নিশান সাহিবের (Nishan Sahib) পতাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের খোঁজে ইতিমধ্যেই দিল্লি ও পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। প্রায় ৪৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে। জজবীর সিং, বুটা সিং, সুখদেব সিং নামের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেও লুকআউট নোটিস জারি করা হয়।