সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত চারদিন ধরে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হামলায় রক্তাক্ত ইজরায়েল। পালটা আক্রমণে হামাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইহুদি দেশটি। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চাঁদনি চকের ইজরায়েলি দূতাবাসে ও ইজরায়েলের (Israel) রাষ্ট্রদূত নাওর গিলনের সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। ভবনগুলো স্থানীয় পুলিশ ঘিরে রেখেছে। অতিরিক্ত কয়েকটি পুলিশ ভ্যানও মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে কড়া নজরদারি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নজরদারি আরও কঠোর করার। একইসঙ্গে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নয়া দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকার চাবাদ হাউসকেও। এটি মূলত ইহুদিদের ধর্মীয়স্থল হিসাবে পরিচিত। যুদ্ধ আবহে দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা থেকেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘খাবার-জল-বিদ্যুৎ সব বন্ধ’, গাজা দখলের নীল নকশা প্রস্তুত ইজরায়েলের]
উল্লেখ্য, গত শনিবার ইজরায়েলের বুকে ভয়ঙ্কর আঘাত হানে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা থেকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ছোড়া হয় ৫ হাজার রকেট। এর পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল সরকার। তার পর থেকে চলছে হামাস বনাম প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনার রক্তক্ষয়ী লড়াই। এই পরিস্থিতিতে ইহুদি দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ।
এদিকে, হামাসের নজিরবিহীন এই হামলার কড়া জবাবে গাজা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইয়োআভ গালান্ত। তাঁর হুঙ্কার, হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই ভূখণ্ডে খাবার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জোগান বন্ধ করে দেওয়া হবে। একেবারে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে ২০ লক্ষ মানুষের বাসস্থান। যদিও ইজরায়েলের এই সিদ্ধান্তের বেশ বিরোধিতা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।