সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিটকয়েন (Bitcoin) যেন খারাপ হাতে না পরে, বিটকয়েনের ফলে কোনওভাবেই যেন ক্ষতি না হয় যুব সমাজের। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৃথিবীর সব গণতন্ত্রকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার (Australia) সিডনির (Sydney) একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন, বিশ্বের সমস্ত দেশের যৌথভাবে বিটকয়েন সংক্রান্ত একটি নীতি নির্ধারন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে কোনও ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের তথা জনস্বার্থের দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত আমাদের। এইসঙ্গে উৎসাহ দেওয়া উচিত বাণিজ্যে বিনিয়োগের দিকটিকেও।” মোদি বলেন, “উদাহরণ হিসেবে বিটকয়েনের কথাই বলা যায়। এই ক্ষেত্রে সমস্ত গণতন্ত্রের একজোট হয়ে নিশ্চিত করা উচিত, যাতে করে বিটকয়েনের বিষয়টি খারাপ হাতে না পড়ে, যা আমাদের যুব সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।”
[আরও পড়ুন: যুগান্তকারী, বিশ্বে এই প্রথমবার ওষুধ ছাড়াই এইডস মুক্ত হলেন মহিলা]
বিটকয়েনের অনিয়ন্ত্রিত বাজারের লাভ তুলতে পারে অপরাধ চক্র। সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের ক্ষেত্রেও বিটকয়েনকে হাতিয়ার করা হতে পারে, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই বিষয়ে অর্থমন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে অর্থমন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা একমত হয়েছিলেন, বিটকয়েনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় না। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন রয়েছে অবশ্যই।
[আরও পড়ুন: আরও ক্ষুধার্থ ‘ড্রাগন’, ডোকলামের কাছে ভুটানের জমি দখল করে গ্রাম বানিয়েছে চিন]
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বিটকয়েনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে আইনি সিদ্ধান্তের পথে যাচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিটকয়েন সংক্রান্ত একটি বিলের খসরা তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিটকয়েনের ব্যবহার একেবারে বন্ধ না করে ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থার কথা ভাবছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেই ঠিক করা হয়েছে। বরং শেয়ার, সোনা, বন্ডের সমগোত্রীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে বিটকয়েনকে। এমনটাই সূত্রের খবর।