সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভয়াবহ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাস। সোমবার রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৪৫০-এর উপরে। পরিস্থিতি বিচার করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দিল্লির সমস্ত স্কুলগুলিকে অনলাইনে পঠনপাঠন চালুর নির্দেশ দিল রেখা গুপ্তার সরকার। তবে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন আপাতত ‘হাইব্রিড’ (অনলাইন এবং অফলাইন) পদ্ধতিতেই হবে বলে জানানো হয়েছে।
দূষণের জেরে কার্যত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে দিল্লি। দিওয়ালির সময় থেকে সেই যে বাতাসে দূষিত কণার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, পরিস্থিতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দিল্লির সমস্ত স্কুলগুলিকে ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার পূর্ববর্তী সেই নির্দেশে কিছুটা বদল আনা হল। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত রাজধানীর সমস্ত স্কুলগুলিকে সম্পূর্ণ অনলাইনে পঠনপাঠন চালুর নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি কোভিডের সঙ্গে তুলনীয়! এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না।
