সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সামনে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছিলেন জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তাঁদের মতে, বাইডেনকে দেখতে ও শুনতে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। যেন তিনি সম্পূর্ণ বেমানান! প্রশ্ন উঠছে এমন শারীরিক ও মানসিক অবস্থায় কেউ কি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হতে পারেন? সেই সঙ্গেই এই প্রশ্নও উঠে পড়েছে। এখন কি আর বাইডেনের পক্ষে সরে দাঁড়ানো সম্ভব? তিনি সরে গেলে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হবেন কে?
আপাতত বাইডেনের (Joe Biden) সরে দাঁড়ানোর কোনও উল্লেখ সরকারি ভাবে করা হয়নি ডেমোক্র্যাটদের তরফে। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই গুঞ্জন বাড়ছে। বাইডেনের দলের ভিতরেই কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, ''বাইডেনের উচিত দেশাত্মবোধের পরিচয় দিয়ে সরে দাঁড়ানো।'' কিন্তু বাইডেনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই। তাঁকে পরিষ্কার বলতে শোনা গিয়েছে, ''যদি ট্রাম্প পারে, আমিও দৌড়ে থাকব।'' প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বয়স ৭৮। অর্থাৎ বাইডেনের থেকে দুবছর কম। তবু শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে তিনি বর্ষীয়ান রিপাবলিক নেতা যে অনেক এগিয়ে তা পরিষ্কার।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলা: ইডিকে ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান ঋতুপর্ণা!]
নিয়মানুযায়ী, এখনও বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর সময় আছে। তিনি চাইলেই জানিয়ে দিতে পারেন, আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে দিতে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। যদি সত্যিই এমন হয়, তাহলে বাইডেনের উত্তরসূরি কে হতে পারেন?
স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমে উঠে আসছে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম। কিন্তু তাঁর অবস্থা 'শোচনীয়'! তাঁর মনোনয়নের পক্ষে ভোট পড়েছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ। প্রায় সাড়ে তিন দশকের মধ্যে কোনও ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে এটাই সর্বনিম্ন। ফলে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। উঠে আসছে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসম ও মিচিগানের গভর্নর গ্রেটচেন হোয়াইটমারের নামও। কিন্তু প্রথমজন বড্ড 'হলিউড ঘেঁষা'। দ্বিতীয় জন জাতীয় মঞ্চে এখনও পরীক্ষিত নন। ফলে তাঁরাও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
[আরও পড়ুন: সলমনের মারকাটারি অ্যাকশন! ‘সিকন্দর’-এর সেট থেকে ফাঁস ছবি]
এদিকে প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা কিংবা কিংবদন্তি টিভি ব্যক্তিত্ব ওফ্রা উইনফ্রের নামও ভাসতে শুরু করেছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটা নিতান্তই 'ফ্যান্টাসি'। ওঁদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ঠিক যেমন মার্কিন পরিবহন সচিব পিট বুটিগেগ বা মিনেসোটার সেনেটর অ্যামি ক্লোবুচারের নাম উঠে এলেও, তাঁরা যেহেতু ২০২০ সালে বাইডেনের থেকে পিছিয়েই ছিলেন, তাই তাঁদেরও প্রার্থী হওয়া কার্যত অসম্ভব। সব মিলিয়ে বাইডেন সরে দাঁড়ালে ডেমোক্র্যাটদের 'মুখ' বেছে নেওয়া সহজ হবে না এটা পরিষ্কার। সেই অর্থে এই মুহূর্তে তাঁর যথার্থ উত্তরসূরি কেউই নেই। তাই শেষপর্যন্ত বাইডেন আদৌ সরে দাঁড়ান কিনা, কিংবা তিনি সরে দাঁড়ালে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে গুঞ্জন জোরালো হতে শুরু করেছে।