সুকুমার সরকার, ঢাকা: শীত প্রায় চলে এলেও বাংলাদেশে (Bangladesh) কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি বছর যেভাবে সেদেশে ডেঙ্গুর দাপট দেখা যাচ্ছে, তাতে অতিমারী করোনার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। গত বছরও শীতে ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকলেও রোগটির এত প্রকোপ দেখা যায়নি। কিন্তু চলতি বছর এমন কোনও মাস নেই যেখানে ডেঙ্গুতে কেউ আক্রান্ত হননি। ডেঙ্গুর এই লাগামছাড়া বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক মহল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে ডেঙ্গু বৃদ্ধির এই প্রবণতা ভবিষ্যতে বড় আকারের সংক্রমণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোগী এবং মশার বাড়বাড়ন্তের উপর নিবিড় নজরদারি (Surveillance) আজ পর্যন্ত হয়নি। আবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু পর্যালোচনার (Death Review) কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেনি স্বাস্থ্যদপ্তর। জনস্বাস্থ্যবিদদের বক্তব্য, মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা হওয়া উচিত। তাহলে সঠিক পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। জানা গিয়েছে, দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৪৩ জন।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলেই নিষেধাজ্ঞা, মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বার্তা মন্ত্রীর]
বলে রাখা ভালো, ২০০০ সালে প্রথম বাংলাদেশে আতঙ্ক হয়ে দেখা দেয় ডেঙ্গু। তখন শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সব বয়সের মানুষের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গু এখন আর শুধু রাজধানী ঢাকায় (Dhaka) সীমাবদ্ধ নেই, ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত চলতি বছরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৪। আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৫ জনের। তবে রাষ্ট্রসংঘের (UN) এক রিপোর্ট মোতাবেক এই সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না। তাই পরিসংখ্যানে বিস্তর ফারাক থেকে যাচ্ছে।