গৌতম ব্রহ্ম: করোনা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গু (Dengue) পরিস্থিতি। পরিসংখ্যান বলছে, ১৭ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪১৮৪ জন। এর মধ্যে ১১ থেকে ১৭ আগস্ট আক্রান্ত ৫৩৫ জন। ৩ থেকে ১০ আগস্ট এই সংখ্যাটা ছিল ৫৪৮। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের (Nabanna) নির্দেশে পাঁচটি জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করে ডেঙ্গু নিয়ে শনিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসছে স্বাস্থ্যদপ্তর। নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যেই পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। মুখ্যসচিব নিজে বারবার জেলাশাসক ও সিএমওএইচ-দের (CMOH) জানিয়ে দিয়েছেন, স্ট্যান্ডার্ড প্রোটোকল মেনে ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্যে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে। সাতদিনের মধ্যে জমা জল সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের নির্দেশে ফের বৈঠকে বসছেন স্বাস্থ্যসচিব নিগম।
[আরও পড়ুন: ২০ সেকেন্ডেই সর্বনাশ! সন্দেশখালিতে টর্নেডোয় ভাঙল অন্তত ২৫০টি কাঁচা বাড়ি, বিপাকে এলাকাবাসী]
জানা গিয়েছে, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলোকে রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করা হবে। মৃত্যু এড়াতে সব ধরনের পদক্ষেপ করার কথা বলা হবে। সেই সঙ্গে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর উপরও জোর দেওয়ার বার্তা দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, বিশেষভাবে পাঁচটি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। বৈঠকে সব জেলার সিএমএইচ ও জেলাশাসকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! প্রধানমন্ত্রী মোদির নিরাপত্তায় এবার ‘দেশি কুকুর’]
এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন নিগম। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতা (Kolkata) নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। পরপর দু’সপ্তাহে ডেঙ্গি সংক্রমণের তথ্য নিয়ে উদ্বেগজনক। নবান্ন সূত্রের খবর, ২০২০, ২০২১-এর তুলনায় বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, যা নিয়েই চিন্তায় নবান্ন। মুখ্যসচিব নিজে এলাকায় এলাকায় প্রতিদিন বিশেষ ডেঙ্গু অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। মশা নিধনে গাপ্পি মাছের চাষ বাড়াতে বলেছেন।