সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue)। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়েছে বহু আগেই। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। এসবের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডেঙ্গু নিয়ে আশার কথা শোনালেন। কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মমতা (Mamata Banerjee) ডেঙ্গু সচেতনতার বার্তা দিলেন। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণ নিম্নমুখী। আরেকটু শীত পড়লে কমে যাবে।
কৃষ্ণনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”এখন কোভিড (COVID-19) নেই। প্রায় কমে আছে। কিন্তু ডেঙ্গুটা একটু একটু আছে। ওটাও নিম্নমুখী। যত শীত পড়বে তত কমে যাবে।” পরক্ষণেই মুখ্যমন্ত্রীর সাবধানবাণী,”ডেঙ্গু নানারকম জিন নিয়ে বারবার আসে। আমি পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধায়ক, সাংসদ প্রত্যেককে বলব, সতর্ক থাকুন। এলাকা পরিষ্কার রাখুন। মশা বাড়তে দেবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, “অনেক জায়গায় অনেক পুজো হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। যার ফলে বহু জায়গায় আবর্জনা জমেছে। তাই মশা বাড়ছে।” মমতার অনুরোধ, ‘কোথাও জল জমতে দেবেন না। বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা জমতে দেবেন না।’
[আরও পড়ুন: ‘আইন না মানলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব’, টেট নিয়ে পর্ষদকে হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
ডেঙ্গু নিয়ে মমতার এই সচেতনতার বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে। পরপর উদ্বেগজনক ডেঙ্গু পরিসংখ্যান শাসক শিবিরকে খানিকটা ব্যাকফুটেও। তবে, প্রশাসনও তৎপরতা বাড়ানো শুরু করে দিয়েছে। মঙ্গলবারই নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi)। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর। তবে মূলত জোর দেওয়া হয়েছে কো-মর্বিডিটির উপর। হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ভরতি করা হলে প্রথমেই দেখতে হবে আক্রান্তের আর অন্য কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না। প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করতে হবে। সমস্ত হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক চালাতে হবে। প্রকোপ বেশি এমন এলাকার বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল যেমন পিজি, বেলেঘাটা আইডি, হাওড়া জেলা, শ্রীরামপুর জেলা হাসপাতাল, শিলিগুড়ি পুর হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে।
[আরও পড়ুন: উলুবেড়িয়ায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বাইকে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত একই পরিবারের ৩ জন]
এরপর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতায় বাড়তি নজর দিচ্ছে প্রশাসন। চারপাশ যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলিকে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই সচেতনতার বার্তা মানুষকে সতর্ক করতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।