সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রিয়জনের দেওয়া উপহার আগলে রাখতে সবসময় ব্যস্ত থাকেন সকলে। কোনওক্রমে সেই উপহার হারিয়ে ফেললে মাথার ঠিক থাকে না। পাগলের মতো সেই বিশেষ উপহারটি খুঁজতে থাকেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাজারো চেষ্টার পরেও আর খুঁজে পাওয়া যায় না স্মৃতিবিজড়িত সেই জিনিস। তবে ডেনমার্কের এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা একেবারে অন্যরকম। নিজের গাফিলতিতেই প্রিয়জনের দেওয়া দুর্মূল্য উপহার হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু সকলের সহযোগিতায় আবারও ফিরে পেয়েছেন তাঁর প্রিয় জিনিসটি। তবে হারিয়ে পাওয়ার এই প্রক্রিয়াটি বেশ চমকপ্রদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন তিনি।
ভারতে বেড়াতে এসেছিলেন ডেনমার্কের (Denmark) আন্দ্রেস অ্যান্ডারসন। প্রয়াত ঠাকুরদার দেওয়া একটি ঘড়ি নিয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। ফেরার সময়ে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর (Bengaluru Airport) থেকে দেশ ছাড়ছিলেন তিনি। তখনই প্রিয় ঘড়িটি হারিয়ে ফেলেন আন্দ্রেস। বিমানবন্দরে জিনিসপত্র তল্লাশি চালানোর সময়েই ঘড়িটি হারিয়ে যায়। ফ্র্যাঙ্কফুর্টে পৌঁছে গিয়ে ঘটনাটি টের পান আন্দ্রেস। ঠাকুরদার দেওয়া প্রিয় ঘড়ি হারিয়ে ফেলে বেশ বিষণ্ণ হয়ে পড়েন তিনি। আর কোনও দিন ওই ঘড়ি পরে ঠাকুরদার ছোঁয়া অনুভব করতে পারবেন না, এই কথা ভেবেই তাঁর কষ্ট হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: সঙ্গে কার্ড বা ফোন রাখা ঝক্কি! হাতেই বারকোডের ট্যাটু করালেন যুবক]
ঘড়ি ফেরত পাবেন না জেনেও বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে একটি ইমেল করেন আন্দ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দ্রেস লিখেছেন, মেল পাঠানোর মাত্র কুড়ি মিনিটের মাথায় জবাব আসে বিমানবন্দর আধিকারিকদের তরফ থেকে। ডেনমার্কের নাগরিক ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন টিসিএসের কর্মীরাও। তাঁরা আন্দ্রেসকে আশ্বাস দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘড়ি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরের দিনই আন্দ্রেসের দোরগোড়ায় ঘড়ি এসে হাজির।
যে ঘড়ি হারিয়ে ফেলার পরে মুখ কালো করে বসেছিলেন, মাত্র একদিনের ব্যবধানে সেই ঘড়ি ফেরত পেয়ে উচ্ছ্বসিত আন্দ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “খড়ের গাদায় সূচের মতো এখনও এরকম কয়েকজন মানুষ অবশিষ্ট রয়েছেন। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের আধিকারিকদের পেশাদারিত্ব আর সহযোগিতা দেখে আমি মুগ্ধ। আমার ঘড়ি ফিরিয়ে দিতে তাঁরা যেরকম উদ্যোগ নিয়েছেন, তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কীভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হয়, তার সেরা উদাহরণ বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের আধিকারিকরা।”