শুভঙ্কর বসু: আগামী শুক্রবার প্রকাশিত হতে চলেছে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। এই তালিকার ভিত্তিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election) হবে। তবে তার আগে, বুধবার ফের রাজ্য সফরে আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার (Deputy election commissioner) সুদীপ জৈন। ডিসেম্বরের পর তাঁর এবারের সফরেও ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় জোনভিত্তিক জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের।
গত ডিসেম্বরে রাজ্যে এসে ভোট প্রস্তুতির হাল-হকিকত খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন সুদীপ জৈন। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের আসছেন। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে দু’দফায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের প্রেসিডেন্সি, বর্ধমান এবং মেদিনীপুর ডিভিশনের জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসার কথা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের। পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সেই কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনা, ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ]
শুক্রবারই রাজ্যে প্রকাশিত হচ্ছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। সেই কাজ খতিয়ে দেখাই শুধু নয়, এবারের সফরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট নেবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সে কারণেই বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক হিংসার পরিসংখ্যান তৈরি রাখতে বলা হয়েছে বলে খবর। ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের গতবারের রাজ্য সফরেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে দিল্লিতে কমিশনের অফিসে দরবারও করেছে রাজ্য বিজেপি। ফলে এবারের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে তা ইতিমধ্যেই টের পাওয়া যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমফানের চালের মতো টিকা যেন চুরি না হয়’, কটাক্ষ বাবুলের]
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নির্বাচনের বেশ কিছুটা সময় আগে থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে পারে কমিশন। সে কারণেই জেলাগুলির কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট চাইতে পারেন সুদীপ জৈন। রাজ্য সফর শেষে দিল্লিতে ফিরে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখে রাজ্যে আসতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।