সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং (Gurmeet Ram Rahim)। রবিবার তাকে গুরগাঁওয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হরিয়ানার রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি রয়েছে সে।
গত ৩ জুন পেটে ব্যথা শুরু হয় তার। তখনই রোহতকের পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স-এ নিয়ে গিয়ে তার কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু করোনা পরীক্ষা করাতে চায়নি রাম রহিম। অবশেষে রবিবার ৫৩ বছরের ধর্ষককে গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনা পরীক্ষা করাতে। কড়া পুলিশ প্রহরার মধ্যেই পরীক্ষা হয়। ফলাফল হাতে আসতেই জানা যায় সে কোভিড (COVID-19) পজিটিভ।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে জনসেবায় কী কী করেছে দল? রিপোর্ট নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি]
সুনারিয়া জেলের সুপারিটেন্ডেন্ট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ফোনে জানিয়েছেন, আরও কিছু পরীক্ষা করানো দরকার রাম রহিমের। কিন্তু সে যে হাসপাতালে আছে সেখানে এই পরীক্ষাগুলি হয় না। ফলে ফের তাকে মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে রোহতকেই তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।
গত মাসেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল রাম রহিম। বিতর্কিত ধর্মগুরুর রক্তচাপের সমস্যা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল ঝিমুনি ভাব। এক রাত হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত মাসেই প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিল রাম রহিম। অসুস্থ মা’কে দেখতে যাওয়ার জন্যই তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তার এভাবে মুক্তির পরই সরব হন নেটিজেনরা। অনেকেই এই নিয়মকানুনকে সমালোচনায় বিদ্ধও করেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ধর্মীয় সংগঠন ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান রাম রহিমকে ২০ বছরের সাজা শোনায় আদালত। দু’জন মহিলাকে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সে। সেই সঙ্গে সাংবাদিক রামচন্দর ছত্রপতিকে খুনের অপরাধে তাকে যাবজ্জীবনের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়।