নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তদন্তের নামে দীর্ঘসূত্রিতা নয়। বরং দ্রুত তা শেষ করে চার্জশিট পেশ হোক, শুরু হোক বিচার প্রক্রিয়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীকে চরমতম শাস্তি দেওয়া হোক। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মামলায় এখন এটাই চাইছেন সকলে। আর জনতার মনের কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সরাসরি প্রশ্ন করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর প্রশ্ন, কবে চার্জশিট দাখিল করবে সিবিআই? কবে শুরু হবে অভিযুক্তদের বিচার? মঙ্গলবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে রীতিমতো শ্লেষের সুরে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
গত ৯ আগস্টের ঘটনায় এফআইআর দায়েরের পর পুলিশ তদন্তে নেমে কয়েকঘণ্টার মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। দিন তিনেকের মধ্যেই আর জি করে ধর্ষণ-হত্যামামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের প্রাথমিক কাজ শুরু করেন আধিকারিকরা। এর পর নতুন আর কোনও গ্রেপ্তারি নেই। তবে এখনও পর্যন্ত হাতে আসা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের দাবি, এক্ষেত্রে সঞ্জয় একাই গোটা ঘটনার মূল অভিযুক্ত। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে সঞ্জয়। তাকে ফের ওইদিন শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হবে।
[আরও পড়ুন: সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, পালটা রাজ্যকে ডেডলাইন জুনিয়র ডাক্তারদের]
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আদালতে চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। তাতে ধৃতকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়ে শুরু হবে আসল বিচার প্রক্রিয়া। সে রাস্তাও দীর্ঘ। কবে দোষী সাব্যস্ত হবে? কবেই বা শাস্তি পাবে? এমন এক ঘটনায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষ হতে যেন আর তর সইছে না আমজনতার। তাঁরা চান, দ্রুত শাস্তি। আর সেই প্রশ্ন তুলে এবার সিবিআইকেই নিশানা করলেন ডেরেক। X হ্যান্ডলে তাঁর সোজাসুজি প্রশ্ন, ''আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই কবে চার্জশিট দাখিল করে অভিযুক্তদের বিচার শুরু করাবে?''
[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি হোক’, আর জি করের দোষীদের কঠোরতম সাজার দাবি সৌরভের]
এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, 'ওদের সাফল্যের হার খুব কম।' কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁদের উপর চাপ বাড়ানোর পথে হাঁটলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ।