সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাগজ-কলমে সৃষ্টির খেলায় আনতে পারতেন বিপ্লব। কিন্তু তার বদলে ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য হাতে তুলে নিলেন বন্দুক। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপর গুলি চালানোর ঘটনায়। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে এক কবি গুলি চালিয়েছেন। আপাতত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপর গুলি চলার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্লোভাকিয়ার (Slovakia) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতুস সুতাজ এস্টক। সেখানেই তিনি বলেন, ৭১ বছর বয়সি এক কবিকে আটক করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপরে গুলি চালানোর অভিযোগে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেননি। স্লোভাকিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে অভিযুক্তের বিস্তারিত পরিচয় জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত চাঁদে চলে গেল, আর পাকিস্তান…’, নিজের দেশের নিন্দায় সরব পাক সাংসদ]
৭১ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই তিনটি কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। স্লোভাকিয়ার সাহিত্যিকদের অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদও রয়েছে তাঁর। একটি লিটারেরি ক্লাবও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে প্রধানমন্ত্রীর উপর গুলি চলার ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছে বলে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে সাহিত্যিকদের অ্যাসোসিয়েশন। অভিযুক্ত ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
গোটা ঘটনায় কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্তের পুত্র। একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "জানি না কীভাবে এসব হল। বাবা কী ভেবে এমনটা করল আমার ধারণা নেই।" তবে প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে নির্বাচনে ভোট দেননি অভিযুক্তের পুত্র। বরং জানান, অভিযুক্তের লাইসেন্স-সহ বন্দুক রয়েছে। তবে অভিযুক্তের পরিচিতরা অনেকেই বলেছেন, কবি মোটেও গুলি চালিয়ে ফেলার মতো আগ্রাসী ছিলেন না। অন্যদিকে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফিকো।