শেখর চন্দ, আসানসোল: যাত্রীবোঝাই বাস থেকে উদ্ধার বোমা (Bomb)। একটি ব্যাগ থেকে মিলল প্রায় ৩০টি দেশি বোমা। পানাগড় সেনা ছাউনির গোয়েন্দা এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি চিরকূট। তা থেকে ঝাড়খণ্ডের একজন ও কলকাতার দু’জনের নামও লেখা রয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন সেনা গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১১ টা ১৫ হবে। সেই সময় পানাগড় সেনা ছাউনির গোয়েন্দা বিভাগের কর্মীরা সূত্র মারফত খবর পায় একটি যাত্রীবাহি বাসে বোমা পাচার হচ্ছে। সেই অনুযায়ী পানাগড় থেকে বাসটির পিছু নেন গোয়েন্দারা। আসানসোলের কুলটির কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসটিকে দাঁড় করানো হয়। কুলটির ডুবুরডিহি মোড়ের কাছে কুলটি থানার পুলিশ ও পানাগড় সেনা ছাউনির গোয়েন্দা বিভাগ ওই যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালায়। উদ্ধার হয় ৩০টি তাজা বোমা।
[আরও পড়ুন: বড় মাপের ইলিশে ভরল ডায়মণ্ড হারবারের মাছের আড়ত , ওজন দেড় কেজিরও বেশি!]
ব্যাগে থাকা নথি থেকে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে বোমাগুলি ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হচ্ছিল। প্রতিটি বোমার দাম ১০০০ টাকা। ওই ব্যাগ থেকে একটি চিরকূটও পাওয়া গিয়েছে। চিরকূটে লেখা থেকে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে সফি মহম্মদ ভাই নামে কারও কাছে পাঠানো হচ্ছিল বোমাগুলি। কলকাতারও দুই ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে চিরকূটে। লেখা রয়েছে একটি কোড নম্বর। সেটি হল ১২৪৬১। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বোমা উদ্ধারের ঘটনায় হাজারও প্রশ্নের ভিড়। কে বা কারা এই বোমা পাচারের সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেনই বা ঝাড়খণ্ডে বোমাগুলি পাঠানো হচ্ছিল, পাচারকারীদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিল, সব কিছুই গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।