ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও অর্ণব আইচ: মণীশ শুক্লা খুনে অভিযুক্ত নাসির খানকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি (CID)। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নাসিরকে। মঙ্গলবার সন্ধেয় আটক করা হয়েছিল তাকে। শোনা যাচ্ছে, ওই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এই নাসিরই। মঙ্গলবার সকালে মণীশ শুক্লার বাবা টিটাগড় (Titagarh) থানায় যে এফআইআর করেছিলেন তাতে খুররম-সহ বেশ কয়েকজনের পাশাপাশি নাম ছিল এই যুবকেরও।
জানা দিয়েছে, টিটাগড়ের বাসিন্দা নাসির খান। দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত তিনি। প্রাথমিক তদন্তে সিআইডি আধিকারিকদের অনুমান, মণীশ শুক্লাকে খুনের পিছনে বড়সড় ভূমিকা ছিল তার। হয়তো গুলি চালিয়েছিল নাসিরই। তবে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, রবিবার ভর সন্ধেয় টিটাগড় থানার উলটোদিকে বিজেপি (BJP) কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালিয়ে মণীশ শুক্লার শরীর ঝাঁজরা করে দেয় চার বন্দুকবাজ। উন্নতমানের নাইন এমএম কার্বাইন থেকে গুলি চালানো হয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপি নেতৃত্ব একযোগে তৃণমূল-পুলিশ যোগসাজোশকে কাঠগড়ায় তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে। অন্যদিকে, মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তের দায়িত্বভার পায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মুখে ফের একদিনে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ বাংলায়, চিন্তায় রাখছে মৃত্যুও]
তদন্ত শুরুর পরই সাফল্যের মুখ দেখে সিআইডি (CID)। মঙ্গলবার সকালেই বারাকপুর এলাকা থেকে খুনে জড়িত অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম মহম্মদ খুররম খান, গুলাব শেখ। রাডারে ছিল রাজু নামে আরও এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃতদের। এরপরই সিআইডির তরফে জানানো হয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণ জোরাল হচ্ছে মণীশ হত্যাকাণ্ডে। কারণ, কয়েক বছর আগে খুররমের বাবার খুনের ঘটনায় নাম উঠেছিল মণীশ শুক্লার। যদিও এবিষয়ে নিশ্চিত নয় তদন্তকারীরা। পাশপাশি মৃতের বাবার দাবি, তাঁর ছেলের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। তবে কী কারণে খুন? নাসির খানকে নাগালে পাওয়ায় শীঘ্রই মণীশ হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ সম্ভব হবে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।