সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপাবলির আগে ভারতীয় রেলে বড়সড় নাশকতার ছক। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে রেললাইনে মিলল ডিটোনেটর। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিদ্বারের মতিচুর স্টেশনের কাছে রেললাইন দেখভালের সময় ওই ডিটোনেটর নজরে আসে রেলকর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। ঘটনাস্থলে আসেন রেলের পদস্থ কর্তারা উদ্ধার করা হয় ওই বিস্ফোরক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই যুবকই লাইনে ডিটোনেটর ফেলে রেখেছিলেন। দীপাবলির আগে বড়সড় নাশকতা ঘটাতেই পরিকল্পিত ভাবে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই বিষয়টি নজরে আসে রেলকর্মীদের। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রেলে ডিটোনেটরের মাধ্যমে নাশকতার ঘটনা অবশ্য এই প্রথমবার নয়। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কর্নাটক যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা হয়। মধ্যপ্রদেশের নেপানগর বিধানসভা এলাকার সাগফাতা স্টেশনের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা ডিটোনেটরের সাহায্যে ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। রেললাইনে ফেলে রাখা ডিটোনেটরের উপর থেকে ট্রেন যাওয়ার সময় জোরদার বিস্ফোরণও ঘটে। যদিও সেই ঘটনায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবার দীপাবলির আগে ফের এই ঘটনাইয় উদ্বিগ্ন রেল কর্তারা।
তবে একদিকে যেমন নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্যদিকে তেমন বার বার প্রকাশ্যে আসছে রেলের গাফিলতি। গত সোমবার রাতে আতসবাজিতে বিস্ফোরণের জেরে রেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে হরিয়ানার রোহতকে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। ট্রেনের মধ্যে দাহ্য পদার্থ বহন করা আইনত নিষিদ্ধ। সেখানে আতসবাজি বিস্ফোরণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে।