সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় দফায় ফের কর্মবিরতিতে তাঁরা। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যপরিষেবা ধাক্কা খাচ্ছে বলেই দাবি রোগীদের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আর্জি তারকা সাংসদ দেবের।
বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রতিদিনের দপ্তরে 'কফি উইথ কুণাল' অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দেব। চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে তারকা সাংসদ বলেন, "গ্রামের গরিব মানুষরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। একটা ন্যায় পেতে গিয়ে আরেকটা যেন অন্যায় না হয়, সেটা ভাবা উচিত। আমাদের সমাজের আসল ভগবান ডাক্তাররা। আমি বললে কিছু হবে না। বিবেক যতক্ষণ নিজে থেকে না জাগছে, ততক্ষণ কিছু হবে না।"
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতে হাসপাতাল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। পরদিন ওই হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সুবিচার হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে রুজু হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্ট ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই ঘটনার তদন্ত করছে।
তবে প্রায় দুমাস হতে চললেও, ঘটনাটি এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কীভাবে খুন হলেন তরুণী চিকিৎসক, এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সিবিআইয়ের ভূমিকায় কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররাও। সুবিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতিতে শামিল তাঁরা। মহালয়ায় কলকাতার রাজপথে মহামিছিল শেষে প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন। পুজোয় একটানা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন কিনা, তা স্থির করতে সিনিয়রদের সঙ্গে বর্তমানে বৈঠকে বসেছেন জুনিয়ররা।