সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য এবার ব্যবহৃত হবে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) নৈনি সৈনি বিমানবন্দর। চিনা সীমানা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল প্রশাসনের ব্যবহারের জন্য। এবার সেই বিমানবন্দরে শুরু হবে বাণিজ্যিক উড়ান পরিবহন। ইতিমধ্যেই ভারতের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, কুমায়ুন (Kumayun) এলাকার পরিবহনের উন্নতি করতেই পিথোরগড়ের এই বিমানবন্দরকে কাজে লাগানো হবে।
জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সালে তৈরি হয় নৈনি সৈনি বিমানবন্দর (Naini Saini Airport)। তবে শুধুমাত্র বায়ুসেনার বিমানের ব্যবহারের জন্যই এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ার কারণে আমজনতা এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারতেন না। তবে এবার ডিজিসিএ জানিয়েছে, বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান উড়তে পারবে নৈনি সৈনি বিমানবন্দর থেকে। প্রসঙ্গত, বায়ুসেনার বিমান ছাড়াও এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকা কপ্টারগুলিও।
[আরও পড়ুন: মোদির রাজ্যে নৃশংসতা! স্ত্রীকে খুন, মেয়ের দেহ ১০ টুকরো করে নর্দমায় ফেলল ‘গুণধর’ বাবা]
তবে ২০১৯ সালে এই বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক বিমান ওড়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু একবছরের মধ্যেই তা বন্ধ হয়ে যায়। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডে দু’টি বিমানবন্দর রয়েছে। দিল্লি ও জয়পুর পর্যন্ত সরাসরি বিমান পাওয়া যায় উত্তরাখণ্ড থেকে। রাজ্যে বিমানবন্দরের সংখ্যা বাড়লে বিমানের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
ডিজিসিএর এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। নয়া বিমানবন্দর তৈরির খবরে শিলমোহর দিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের বিমান পরিবহনের বিরাট উন্নতি হবে এই ঘোষণার ফলে। বিশেষত, কুমায়ুন এলাকা থেকে বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার দরকার ছিল। এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই।”