বিধান নস্কর, দমদম: দমদম বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত শুরু করল DGCA। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর (Dumdum Airport) পর্যবেক্ষণে আসছে ডিজিসিএর একটি প্রতিনিধি দল। নিজেদের মতো করে আগুনের ঘটনায় পদক্ষেপ করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরের ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলও অগ্নিকাণ্ডের স্থান পরিদর্শনে যাবেন।
বুধবার রাত ৯.১০ নাগাদ বিমানবন্দরের ‘চেক-ইন’ এলাকার ‘ডি-পোর্টালে’ আগুন লেগে যায়। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিজস্ব দমকল আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিমানবন্দরের ডিপারচার এলাকা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিমান যাত্রীদেরকে থ্রি সি গেট দিয়ে বাইরে বের করে আনা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে যাতে নতুন করে আগুন না লাগে প্রায় ৩০ মিনিট কুলিং প্রসেস চালানো হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাত ন’টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বিমান চলাচল ব্যাহত হয়।
[আরও পড়ুন: সুফিয়ান বিরোধিতায় তপ্ত নন্দীগ্রাম, ছুটে গিয়ে বন্ধ পার্টি অফিস খোলালেন কুণাল]
বিমানবন্দরের মতো এলাকায় এত বড় অগ্নিকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই আসরে নামতে হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘সামান্য’ একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। রাতে টুইটে করেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও (Jyotiraditya Scindia)। তিনিও বলেন, “কলকাতা বিমানবন্দরে ছোটখাটো একটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সমস্ত যাত্রী এবং কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার কারণ জানা যাবে শীঘ্রই।”
[আরও পড়ুন: Panchayat Elections: ‘উনি আছেন বলেই বুকে বল পাচ্ছি’, সালানপুরে মীনাক্ষীকে পাশে নিয়ে মনোনয়নে বাম প্রার্থীরা]
স্পষ্টতই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমান বন্দরের আগুনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে একই সঙ্গে তদন্তও শুরু করেছে, যাতে যাত্রীদের আশ্বস্ত করা যায়। আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট করে না জানা গেলেও দমকল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগতে পারে।