সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু এক সেনা আধিকারিকের। নিহত স্কোয়াড্রন লিডার র্যাংকের ডিজিএফআই (DGFI) পদে ছিলেন। মায়ানমার লাগোয়া বান্দরবনের তমব্রু সীমান্তে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন র্যাবের একজন কর্মকর্তাও। ওই সীমান্তে আরও সতর্ক হয়েছে বিজিবি।
সোমবার গভীর রাতে র্যাব (RAB) ও ডিজিএফআই মাদক পাচারকারীদের রুখতে যৌথ অভিযান চালায়। তাঁদের সঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার তমব্রু সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ হয়। চলে গোলাগুলি। ওই সংঘর্ষ চলাকালীন পাচারকারীদের গুলিতে ডিজিএফআইয়ের একজন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার, নিহত হন। র্যাবের একজন সদস্য আহত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘যোনিচ্ছেদ প্রথা বন্ধ করুন’, ভারতকে মানবাধিকার তোপ কোস্টারিকার]
তমব্রু সীমান্তের অপর পাশে মায়ানমারের রাখাইন (Rakhine)। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার সেনার তরফে জঙ্গিদমন অভিযান চলছে। গত অক্টোবর মাসে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় জঙ্গি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। সেই অভিযান শুরু হয়েছিল জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি এলাকায়। সেই সময় ওই এলাকায় পর্যটক যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়।
[আরও পড়ুন: উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের, আটকে গেল কর্মশিক্ষকদের চাকরি]
বান্দরবানের এক জনপ্রতিনিধি, ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গির আজিজ জানিয়েছিলেন, যে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতিদিন সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসছে। একসময়ে যুদ্ধবিমান আর হেলিকপ্টার থেকে গোলা ছুঁড়তেও দেখা গেছে। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভিতরে গোলা পড়ার কারণে সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসময় মায়ানমারে সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবিকে (BGB) সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মাদক পাচারকারীদের গুলিতে মৃত্যু হল সেনার পদস্থ আধিকারিকের।