সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঝকঝকে শোরুম, প্রশস্ত রাজপথে অত্যাধুনিক গাড়ি ও খাবারের পসরা নিয়ে বসা হরেকরকম দোকানের সমাহারে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাণকেন্দ্র ঢাকা শহর। যদিও করোনা মহামারীর জন্য বছর খানেক ধরে শহরের রং অনেকটাই ফিকে। কিন্তু এত চমক থাকা সত্ত্বেও কতটা বসবাসের যোগ্য ঢাকা? উঠছে এমন প্রশ্নই।
[আরও পড়ুন: কালো মেঘে ভাসছে আতঙ্ক! বর্ষাকালে ভাসানচরে থাকতে নারাজ রোহিঙ্গারা]
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফলে বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় একেবারে নিচের দিক নাম রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানীর। বিশ্বের বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার স্থান চতুর্থ। ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০২১ সালের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। এ বছর ৩৩.৫ পয়েন্ট নিয়ে সর্বশেষ ঘোষিত তালিকার চেয়ে একধাপ এগিয়েছে ঢাকা। ২০১৯ সালে তালিকায় ১৩৮ নম্বরে থাকলেও এবার রয়েছে ১৩৭ নম্বরে। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা ছিল এই তালিকার ১৩৯তম শহর। অতিমারী করোনার কারণে লকডাউন থাকা শহরের তথ্য সংগ্রহ করতে না পারায় ২০২০ সালের তালিকা করার কাজ বাতিল করে ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং পরিকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে ১৪০টি শহরের এই তালিকা তৈরি করা হয়। এ বছর ঢাকা স্থিতিশীলতায় ৫৫, স্বাস্থ্যসেবায় ১৬.৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০.৮, শিক্ষায় ৩৩.৩ এবং অবকাঠামোতে ২৬.৮ পয়েন্ট পেয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর কারণে এই তালিকায় খানিকটা পরিবর্তন এসেছে। ভিয়েনাকে টপকে এবারের বসবাস যোগ্য শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে অকল্যান্ড। ২০১৮ সাল থেকে তালিকায় শীর্ষে ছিল অস্ট্রিয়ার রাজধানী। কিন্তু এবার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে স্থান পায়নি ভিয়েনা। ২০১৯ সালে ভিয়েনার সঙ্গে একই পয়েন্টে থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহর। সেই মেলবোর্ন এবার আট নম্বরে নেমে এসেছে। আর সেই জায়গা দখল করেছে জাপানের ওসাকা।