সুকুমার সরকার, ঢাকা: লকডাউন, শাটডাউনের জেরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ বাংলাদেশের (Bangladesh) সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তার মাঝেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) ভিতরে অবৈধ জমায়েতের খবর মিলল। আর সেই খবর পেয়েই মাঝরাতে সেখানে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরের নেতৃত্বাধীন একটি দল। দলে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অফিসাররাও। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের অভিযানে যদিও কেউ ধরা পড়েনি। অভিযানকারীদের দাবি, অবৈধভাবে যারা ক্লাসরুমে ছিল, তারা অতি দ্রুত পালিয়েছে। ফেলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি নমুনা। আর তা থেকেই তাদের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযান শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৬টি ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং এসএম হলে অভিযান (Raid) শুরু হয়। চলে রাত ১টা পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানির নেতৃত্বে চলে অভিযান। পুলিশ সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলিগের রিয়াধ হাসান-সহ হলে সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল থেকে পালিয়ে যান। অনেক খুঁজেও তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। এরপর শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নম্বর এবং এসএম হলের ২৫, ২৯ ও ৩৯ নম্বর ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে, যাতে সেখানে কেউ ঢুকতে না পারে।
[আরও পড়ুন: নজরে আকাশ সীমা সুরক্ষা, তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছলেন ভারতের বায়ুসেনা প্রধান]
অভিযানের বিষয়ে প্রোক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানি জানান, ‘‘জহুরুল হক হলে আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে অবস্থানকারীরা পালিয়ে যান, তবে হলে তাদের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বাতি জ্বালানো ছিল। এসএম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে হল অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’ এসএম হলের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘‘অভিযানের সময় এই হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনটি কক্ষে কারও উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়ায় ঘরগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ঘরের বাতি জ্বালানো ছিল, সেই ঘরগুলো তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে সিল করে দেওয়া হবে। অভিযানের সময় একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে হলে পাওয়া যায়। তিনি বিকেলে হলে ঢোকার ফটক তালাবন্ধ থাকায় বের হতে পারেননি। সে জন্য তিনি হলেই ছিলেন। পরে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।’’