সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহবিচ্ছেদের পর মহিলারা কি স্বামীর থেকে খোরপোশ নেবেন, নাকি আত্মসম্মান বজায় রেখে নিজেই নিজের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবেন! এই বিষয়ে তর্ক চলতেই পারে। সম্প্রতি অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু এবং ধনশ্রী বর্মা এই বির্তককে আরও খানিকটা উসকে দিয়েছেন।

সদ্য ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চাহাল ও অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী ধনশ্রী বর্মার আইনি বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে। বিচ্ছেদের পর খোরপোশ হিসাবে ধনশ্রী ৪.৭৫ কোটি টাকা দাবি করেছেন চাহালের কাছে। সেই টাকা দিতে চাহাল রাজিও হয়েছেন। এমনকি ইতিমধ্যেই ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তারকা স্পিনার। ডিভোর্সে সিলমোহর পড়ার পরে বাকি টাকাও দিয়ে দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই একদল অনুরাগী সোশাল মিডিয়ায় ধনশ্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাঁদের দাবি, জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও মোটা অঙ্কের টাকা খোরপোশ দাবি করে অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী নিজের দৈন্যই প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এই প্রসঙ্গে অনেকেই ধনশ্রীর সঙ্গে দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর তুলনা টেনেছেন। সামান্থাকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন অনুরাগীরা। চর্চায় উঠে এসেছে, সামান্থার ২০০ কোটির খোরপোশের প্রস্তাব প্রত্যাখানের বিষয়টিও। এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে নায়িকা নাকি দ্বিতীয়বার ভাবেননি। ২০১৭ সালে দক্ষিণী সুপারস্টার নাগা চৈতন্যের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সামান্থা। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য টেকেনি। ২০২১ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সেই সময় নাগার পরিবারের তরফে অভিনেত্রীর ভরণপোষণের জন্য ২০০ কোটির খোরপোশের প্রস্তাব দেওয়া হয়- যা ফিরিয়ে দেন সামান্থা। নাগার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনায় শারীরিক মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় দেন সামান্থা। অনুরাগীদের দাবি, সামান্থার মতো আত্মসম্মানবোধ অবশ্য সব নারীর থাকে না। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধনশ্রী অবশ্য এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এই বিতর্ক যে সামান্থাকে প্রচারের আলোয় নিয়ে এসেছে সেকথা বলাই বাহুল্য।