সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সদ্য তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক দীপক হালদারের (Dipak Haldar) বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ ডায়মন্ড হারবার। যা নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই সরগরম এলাকা। কারা পোস্টার টাঙালো তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে পাণ্ডবেশ্বরে।
‘ডায়মন্ডহারবার বিধানসভার নাগরিকবৃন্দ’ এই পোস্টার দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও দলত্যাগী বিধায়কের দাবি, সাধারণ মানুষের নাম করে তৃণমূলই এই পোস্টার দিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ভয় পেয়েছে ওরা। তাই ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার নাগরিকদের অযথা জড়িয়ে তাঁদের অপমান করা হয়েছে।” বিধায়কের আরও অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে বাইকবাহিনী দাপট দেখাচ্ছে। যার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এবিষয়ে ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম অধিকারী এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন তরফদার জানিয়েছেন, “এতদিন চুপচাপ থেকে সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পর ঠিক নির্বাচনের মুখে বিধায়ক কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ত্যাগ করলেন তা সাধারণ মানুষ জানতে চাইছেন। সেই কারণে পোস্টারের মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন।”
সৌমেনবাবুর দাবি, “বিধায়কের কোনও ভূমিকা ছাড়াই মানুষ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ দীপক হালদারকে জেতানো সত্বেও তিনি উন্নয়নের কাজের জন্য নিজে এগিয়ে আসেননি। বরং নানাভাবে অসহযোগিতা করেছেন প্রশাসনের সঙ্গে। যে কাজ বিধায়কের করার কথা ছিল, তা তিনি না করায় বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত ও পুরসভার অন্যান্য পদাধিকারী, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সম্পূর্ণ করতে হয়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই তাঁর দল ছাড়া নিয়ে চিন্তিত নয়।”
[আরও পড়ুন: বুথের হাল কী? ১০ তারিখের মধ্যে জানাতে হবে জেলা শাসকদের, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের]
এপ্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম নেতা দেবাশিস ঘোষ বলেন, “দলবদল ও পোস্টার সংস্কৃতি দুইয়েরই বিরোধী সিপিএম। নিজেদের অন্যায় ও অত্যাচারের ঘটনাগুলি সাধারণ মানুষের চোখের আড়াল করতেই বিজেপি ও তৃণমূলের এই নাটক চলছে।” বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবাংশু পণ্ডা জানিয়েছেন, “এতদিন দীপক হালদারের বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ ছিল না। সত্যিই যদি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থেকেই থাকে, তবে তা নির্দিষ্ট ফোরামেই জানানো উচিত। এধরনের পোস্টার মেরে কোনওভাবেই বিজেপিকে কলঙ্কিত করা যাবে না।”