সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের ‘গুপি গায়েন বাঘা বায়েন’ ছবির শেষ দৃশ্যে রসগোল্লার হাড়ির বৃষ্টি হয়েছিল পর্দায়। অমন ইউটোপিয়ান মিষ্টিমুখ বাঙালি ভুলবে কোনও কালে। ওভাবেই যদি আকাশ ঝেঁপে হিরের বৃষ্টি নামে! ঠিক যেমন শিলাবৃষ্টি হয়। টুংটাং বেজে ওঠে টিন-টালির চাল। এর পর শিল কুড়োনোর মতো করে হিরে কুড়োলেই হল। কে ঠেকাচ্ছে! তবে সেক্ষেত্রে ইউরেনাস অথবা নেপচুনে যেতে হবে। ব্যাপারটা কী?
আমাদের সৌরমণ্ডলের একেবারে শেষদিকের গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন যাকে বলে হিমশীতল। আমাদের সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস যেন বরফের গোলা। তার উপর মাঝেমধ্যেই শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়। নেপচুনকে বলা হয় ‘আইস প্ল্যানেট’। বরফ ও গ্যাসের পিণ্ড ইউরেনাসের সঙ্গে নেপচুনের বিস্তর মিল। তো সেই দূরের রহস্যময় গ্রহ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন নেচার অ্যাস্ট্রনমি নামক একটি সায়েন্স ম্যাগাজিন। সেখানে আমেরিকার এসএলএসি ন্যাশনাল অ্যাকসিলারেটর ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, দুই গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুনে হিরের বৃষ্টি হয়। মুঠো মুঠো হিরে ঝরে পড়ে দুই গ্রহে। এমন কাণ্ড ঘটছে কেন?
[আরও পড়ুন: অবশেষে সন্দেশখালি নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক, কী বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক?]
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাইড্রজেন আর কার্বনের কোনও অভাব নেই ওই দুই গ্রহে। যা হিরে তৈরির কাঁচামাল। কার্বনের একটি মৌল আবার গ্রাফাইট। ইউরেনাস ও নেপচুনে ভয়ংকর ঝড় ওঠে, ভীষণ বাজ পড়ে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়। ওই বজ্রবিদ্যুৎ আর ঝড়ের তাণ্ডবেই গ্রাফাইট তৈরি হয়। সেই গ্রাফাইট যত গ্যাসের চাদর ফুঁড়ে নিচে নামতে থাকে, সেই চাদরের গভীরে ঢুকতে থাকে, ততই তা একটু একটু করে কঠিন হিরে হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর প্রাকৃতিক হিরের চেয়ে অনেক বেশিগুণে উজ্জ্বল। প্রশ্ন হল, এবার কী ওই হিরে ভাণ্ডারের মালিকানা পেতে দূরের দুই গ্রহে পাড়ি দেবে মানুষ?