সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার ক্ষমতা তৃতীয়বার দখলের পরও নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি চেয়েছিলেন, দলের অন্য কোনও নেতা মুখ্যমন্ত্রী হোন। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের চেয়ারম্যান হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ভবানীপুর কেন্দ্রে দলের কর্মিসভায় নিজেই একথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
আসলে, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ঘোষণা করা ফলাফল অনুযায়ী নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পরাজিত হয়েছেন। যদিও, সে ফলাফল নিয়ে বিতর্ক আছে। ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে মামলাও করেছেন। আর সম্ভবত এসব বিতর্কের জন্যই সেসময় মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি মমতা।
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল ওঁদের ষড়যন্ত্রের জন্য’, ভবানীপুরে কর্মিসভায় বিস্ফোরক মমতা]
বুধবার ভবানীপুরের কর্মিসভায় সুব্রত বক্সিকে (Subrata Bakshi) উদ্দেশ্য করে তৃণমূল নেত্রী বলেন,”এখন যদি আমি বক্সিদাকে বলি বক্সিদা আমার সঙ্গে ঝগড়া করবেন। আমি ওঁদের বললাম ছেড়ে দিন না, কী দরকার? আমি তো এতদিন করলাম, আপনারা করুন, আমিই সবটা করে দেব। বলল, না হবে না। সবার জন্য ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ আর আমার জন্য বলবে চেয়ারম্যানও থাকতে হবে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার সঙ্গে এই বিভেদ কেন? সে ওঁরা শুনবে না। জিজ্ঞেস করুন সামনা-সামনিই বলছি।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, ভোটের ফলাফলের পর তিনি মুখ্যমন্ত্রী হননি। দলের শীর্ষনেতাদের জোরাজুরিতেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: WB By Election: ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিপিএমের তরুণ মুখ শ্রীজীব বিশ্বাস]
প্রসঙ্গত, এদিনের কর্মিসভায় ভবানীপুর কেন্দ্রটি ফাঁকা করার জন্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chattopadhyay) প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে কেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি ভাবলাম শোভনদা এত পুরনো ছেলে। চিরকাল শোভনদা এই এলাকায় থাকে। তাই ভেবেছিলাম শোভনদা এবার নিজের এলাকায় লড়ুক। তাছাড়া দেবার (দেবাশিস কুমার) প্রতি আমার একটা কমিটমেন্ট ছিল। তাই আমি শোভনদার সিটটা দেবাকে দিয়ে, নিজে ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি। কিন্তু মনে রাখবেন আমি সবাইকে নিয়েই চলি। এটা আমাদের পরিবার। আগামী দিনে শোভনদা লড়বেন, মন্ত্রীও থাকবেন।”