shono
Advertisement
Narendra Modi

সমর্থনে নারাজ জোটসঙ্গীরা! ওয়াকফ সংশোধনী বিল যৌথ কমিটিতে পাঠাল কেন্দ্র

সব শরিক রাজি না হওয়ায় বিলটি পাশ করাতে সমস্যায় পড়তে হত সরকারপক্ষকে।
Published By: Subhajit MandalPosted: 10:35 AM Aug 09, 2024Updated: 10:35 AM Aug 09, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: তুমুল বিরোধিতার মধ্যেই লোকসভায় পেশ ওয়াকফ সংশোধনী বিল। তবে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পরে বিল পাঠানো হল সংসদের যৌথ কমিটির কাছে। বিল পেশ নিয়ে এদিন শাসক-বিরোধী বিতণ্ডায় তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। যার জেরে তাড়াহুড়ো করে বিলটি পাশ না করিয়ে যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

দেশে বিভাজনের রাজনীতি উসকে দেওয়া এবং ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যেই এই বিলটি আনা হয়েছে বলেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার বিল পেশ করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এর আগেই অবশ‌্য এর বিরুদ্ধে নোটিস দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং হিবি ইডেন। বিল পেশের পরে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া জোট এবং তার বাইরে থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও বিল পেশের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

[আরও পড়ুন: পাম অ্যাভিনিউয়ের নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরণী! প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে সিদ্ধান্ত পুরসভার]

তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, এই বিল সংবিধান বিরোধী, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী এবং বিভাজনকামী। দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই বিলের মাধ্যমে সরকার দেওয়ানি আদালতের অধিকার লঙ্ঘন করতে চায়। কোন সম্পত্তি কার তা নির্ধারণ করা আদালতের কাজ। এই বিলের মাধ্যমে সরকার হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে যেতে চায়।” কংগ্রেসের কে সি বেণূগোপাল বলেন, যেভাবে ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। আজ মুসলিমদের উপর আক্রমণ হচ্ছে, কাল জৈনদের উপর হবে, পরে খ্রিষ্টানদের হবে।

[আরও পড়ুন: মেনুতে মৌরলা-ইলিশ, কুমড়ো ফুলের বড়া! ‘খাদ্যরসিক’ বুদ্ধবাবুকে স্মরণ পুরুলিয়ার পাচকের]

সূত্রের খবর বিজেপির জোটসঙ্গীদের মধ্যেও অনেকেই বিলটিতে সংশোধনী চাইছেন। চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি, পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টি এবং চিরাগ পাসওয়ানের লোকজন শক্তি পার্টি এই বিলটিকে সমর্থনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়নি। জেডিইউ এবং শিব সেনার শিণ্ডে শিবির সমর্থনে রাজি হলেও সব শরিক রাজি না হওয়ায় বিলটি পাশ করাতে সমস্যায় পড়তে হত সরকারপক্ষকে। সম্ভবত সেকারণেই বিলটির ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে আপাতত সেটিকে যৌথ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দেশে বিভাজনের রাজনীতি উসকে দেওয়া এবং ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যেই এই বিলটি আনা হয়েছে বলেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
  • বৃহস্পতিবার বিল পেশ করেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
  • এর আগেই অবশ‌্য এর বিরুদ্ধে নোটিস দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং হিবি ইডেন।
Advertisement