রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু কর: শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগ ও মিহির গোস্বামীর দলবদল বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। যা বারবার স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে। রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ বললেন, “ডিসেম্বরেই আলাদা হবে দুধ-জল, উঠে যাবে তৃণমূল দলটাই।”
অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখান থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। বলেন, “তৃণমূলে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট শুরু হয়েছে। তাঁরা এখন ভাঙন ঠেকাতে মরিয়া। এই ডিসেম্বর মাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের কাছে। এই মাসেই দুধ-জল সব আলাদা হয়ে যাবে। তৃণমূল (TMC) দলটাই আর থাকবে না।” এরপরই ৭ তারিখের সভা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “মানুষ অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু জঙ্গলমহলে কোনও উন্নতিই ঘটেনি মমতা সরকারের আমলে। তাই মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন জঙ্গলমহলে পড়ে থাকলেও কিছু হবে না।” মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “মিহির গোস্বামী অভিমানে দলত্যাগ করেছেন। এরকম আরো হবে।” সুর চড়িয়ে ফের বাংলাকে গুজরাট বানানোর শপথ নেন তিনি। বলেন, “গুজরাটে শিল্প হয়েছে, শিক্ষা হয়েছে, উন্নতি হয়েছে। তাই বাংলাকে গুজরাট বানাবই।” এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শাসকদলকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। আলুর দর বৃদ্ধির জন্যও মমতা সরকারকে দায়ী করেন তিনি। পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, মনেমনে পাহাড়বাসী আসেন বিজেপির সঙ্গে। মুখ খোলেন লাভ জিহাদ ইস্যুতেও।
[আরও পড়ুন: বিয়েবাড়িতে প্রচণ্ড শব্দে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নাচ, বাধা দিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, রণক্ষেত্র শ্রীরামপুর]
অন্যদিকে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বলেছেন, “রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ তা প্রমান করতে যে কোনও দিন রাজ ভবনে রাজ্যপালের ডাক পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।” ৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাকও দিয়েছেন তিনি। শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেছেন, “পরিস্থিতি যা তাতে কদিন পর তৃণমূল বলে কোনও দলই থাকবে না।”