রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিমল গুরুং আত্মসমর্পণ করেছেন ক্ষমতার লোভেই। বৃহস্পতিবার সোস্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই দাবিই করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । ছত্রধর মাহাতোর স্টাইলে বিমল গুরুংকেও রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
কয়েকমাসের অজ্ঞাসবাস কাটিয়ে বুধবার আচমকা কলকাতায় উদয় হতে দেখা গিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বহিষ্কৃত নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)-কে। তারপরই কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় গুরুংকে। বুধবার রাতে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে যখন তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে ঠিক তখনই টুইট করে বিমল গুরুংয়ের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান মমতা। তারপরই সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিমল গুরুংয়ের সম্পর্কে নানা মন্তব্য করতে শোনা যায়। বাদ যায়নি বিজেপি নেতারাও।
[আরও পড়ুন: কচি পাঁঠার ঝোল থেকে পাবদা, করোনা রোগীদের রসনাতৃপ্তিতে মেডিক্যালে এলাহি আয়োজন ]
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাতে লেখা রয়েছে, বিমল গুরুং পাহাড় ছাড়া ছিলেন দীর্ঘদিন। পাহাড়ে ফিরতে চেয়েছিলেন, তাই আত্মসমর্পণ করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুতেই ছাড় মেলে। বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছত্রধর মাহাতো। এখন দেখার বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে মামলার কী হয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুই ছাড়।
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর মারফত পাহাড়ের একদা প্রতাপশালী নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছিল। এমনকী এ বিষয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রীর ভূমিকার কথাও শোনা যাচ্ছে। তিন বছর আগে পাহাড়া ছাড়ার পর নেপাল লাগোয়া এক গ্রামে অজ্ঞাতবাসে ছিলেন গুরুং। এরপর বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। UAPA মামলায় অভিযুক্ত একজন কীভাবে এমন প্রকাশ্যে দেশের ক্ষমতাসীন দলের এত ঘনিষ্ঠতা, সেই প্রশ্ন উঠে যায়। বুধবার সেই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিমল গুরুং।