সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন (Farmers’ Protest) নিয়ে পাঞ্জাবের কৃষকদেরই কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মত, মোদি সরকারের কৃষি আইন আসলে পাঞ্জাবের এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের স্বার্থে আঘাত করেছে, তাই কৃষকদের দিল্লির পথে আন্দোলন করতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার হুগলির চাঁপদানির এক সভায় এমনই মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিন ডেরেকের মাধ্যমে দিল্লির আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ায় তাঁকে খোঁচা দিয়েছে সিপিএমও। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম (Md. Selim)প্রশ্ন তুলেছেন, যখন সংসদে আইন পাশ হচ্ছিল, তখন কেন তৃণমূল সাংসদরা চুপ করে ছিলেন?
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কৃষকদের প্রতিবাদ যত বাড়ছে, ততই আইনের সমর্থনে সুর চড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরও। এ রাজ্যে আবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন একাধিকবার। শুধু তাইই নয়, নিজেদের সমর্থন পৌঁছে দিতে তিনি শুক্রবার দলের রাজ্যভার সাংসদ ডেরেক ও ‘ব্রায়েনকে পাঠান হরিয়ানা-দিল্লির সিংঘু সীমানায়। নিজে ডেরেককে ফোন করে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
[আরও পডুন: ‘সভা করতে বাধা দিচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল’, ফের বিস্ফোরক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী]
এসবের পরই বিরোধীদের কটাক্ষ শুরু হয়। হুগলির চাঁপদানিতে এক জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)বলেন, ”এই রাজ্যে আলু চাষিরা আলুর সঠিক দাম পান না। চাষিরা আলুর দাম পান মাত্র পাঁচ টাকা। অথচ সেই আলু আমরা ৪৫ টাকায় কিনে খাচ্ছি। পাঁচ টাকা বাদ দিয়ে বাকি ৪০ টাকা তৃণমূলের নির্বাচনী তহবিলে যাচ্ছে।” তাঁর আরও কটাক্ষ, ”দিদিমণি বলছেন, কৃষকদের হয়ে আন্দোলনে নামবেন। কারণ, এখানকার কৃষকরা যে গম উৎপাদন করেন, তার যোগ্য মূল্য পান না। মোদিজী তার জন্য কৃষি আইন তৈরি করেছেন। কারণ এখানে কৃষকদের দালালের কাছে গম বিক্রি করতে হয়। ধানের সহায়ক মূল্য কৃষকরা পান না।” তাঁর মতে, পাঞ্জাবের কিছু কৃষক দিল্লিতে গিয়ে ‘উৎপাত’ করছে। পাঞ্জাবের একটা বড় দল এনডিএ ছেড়ে গেছে, কারণ, তার মালিকরা কৃষি দ্রব্যের ব্যবসা করে। তাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে কৃষি বিলের বিরোধিতা করা হচ্ছে। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের আক্রমণের নিশানায় শিরোমনি অকালি দলের বাদল পরিবার, তা স্পষ্ট।
[আরও পডুন: বাড়ছে নন সুবার্বন ট্রেন, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও বেশি চলবে দূরপাল্লার ট্রেনও]
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষকবন্ধু ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও। তাঁর প্রশ্ন, সংসদে যখন কৃষি বিল পাশ হচ্ছিল, তখন তৃণমূলের ২২ জন সংসদ কী করছিলেন? তৃণমূলের কতজন সাংসদ গরহাজির ছিলেন?