সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে সরকার গড়তে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং নীতীশ কুমার। এবার শরিকদের সেই দরাদরিকেই নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, "হাতি কাদায় পড়লে ব্যাঙেও লাথি মারে। সুযোগ পেয়ে শরিকরা বেশি দাবি করছে।"
শক্তিক্ষয় হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি (BJP)। তবে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়েছে এনডিএ (NDA) জোট। এবারে শরিক-নির্ভর দাপুটে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিংমেকার হিসেবে অস্তিত্ব জাহির করেছে নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) ও চন্দ্রবাবু নায়ডু (Chandrababu Naidu)। চব্বিশের লোকসভা ভোট এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যেখানে ২৪০টি আসন নিয়ে, গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ দলকে দুই আঞ্চলিক দল টিডিপি ও জেডিইউ-র কাছে মাথা নত করতে হচ্ছে। যাদের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১৬ ও ১২। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পাঁচ থেকে ছটি ক্যাবিনেট পদ দাবি করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। এখানেই শেষ নয়, আরও একগুচ্ছ দাবিদাওয়া রয়েছে তাঁর। তেলেঙ্গানাকে বিশেষ মর্যাদা দিতে হবে। রাজ্যের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করতে হবে অমরাবতীর নাম। রাজধানী শহরকে সাজিয়ে তোলার জন্য আলাদা ফান্ডও চেয়েছেন চন্দ্রবাবু। তেলেঙ্গানায় জিএসটিতেও ছাড় দিতে হবে বলে তাঁর দাবি। জানা গিয়েছে, কেবল ক্যাবিনেট মন্ত্রিত্বই নয়, লোকসভা স্পিকারের পদটিও চেয়েছে টিডিপি।
[আরও পড়ুন: কীভাবে জমি দখল করে টাকা হাতাতেন শাহজাহান? নয়া তথ্য ইডির চার্জশিটে]
অন্যদিকে, জেডি(ইউ) শিবিরেও নাকি হাওয়া উঠছে নীতীশই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। পাশাপাশি অমিত শাহকে নাকি পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন না জেডি(ইউ) প্রধান। তবে জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার প্রধান পাঁচটি মন্ত্রকের মধ্যে তিনটি চেয়েছে নীতীশের দল। মাত্র একটি সাংসদ থাকা হামও একটি মন্ত্রিপদ চেয়েছে। এই দাবিদাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ।
দিলীপের দাবি, "আঞ্চলিক দল সবসময় নিজের কথাই ভাবে। সুযোগ পেয়ে বেশি করছেন শরিকরা।" সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "২০০৪-এ বাজপেয়ীর সঙ্গে যাঁরা দর কষাকষি করেছিলেন, তাঁরা সাফ হয়ে গেছিলেন। সেই তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন।"