shono
Advertisement

‘আমি নেই, ৪০% ভোট পেয়ে দেখান’, বাংলা ছাড়ার আগে সুকান্ত-শুভেন্দুদের চ্যালেঞ্জ দিলীপের

রাজ্যে বিজেপির শক্তি বাড়ায় দলের অনেকের কষ্ট হয়েছে, মন্তব্য দিলীপের।
Posted: 12:13 PM May 28, 2022Updated: 01:16 PM May 28, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: “তাঁদের ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে। আমি তো বাংলার দায়িত্বে নেই। এবার পার্টিটাকে জিতিয়ে দেখান। ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখান।” নাম না করে সুকান্ত-শুভেন্দুদের নিশানা করে এভাবে প্রকাশ্যেই তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুধু তাই নয়, দলের মধ্যে তাঁর সমালোচকদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি শুক্রবার বলেন, “৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখালে ওঁদের কথা মেনে নেব। না হলে ভাবব ওঁরাই সেটিং করেছেন তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে বিজেপিকে ড্যামেজ করার জন্য। বিজেপি বেড়েছে তাতে তৃণমূল-সিপিএমের যা কষ্ট হয়েছে, আমাদের পার্টির অনেক লোকেরও কষ্ট হয়েছে।”

Advertisement

তাঁর হাত ধরে বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী উত্থান, তাঁকে বাংলার সংগঠনে ব্রাত্য করে অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। সেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে চর্চা তুঙ্গে। তাঁকে ভিন রাজ্যে সরানোর পিছনে দলের ক্ষমতাসীন শিবিরের কতিপয় নেতার কলকাঠি রয়েছে বলে দাবি দলের একাংশের। আর সেটা নিয়েই এদিন সংবাদ মাধ্যমে কারও নাম না করে দলে তাঁর বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের পাশে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট বলেন, “দিলীপ ঘোষ বাংলার নেতা, বাংলাতেই থাকবেন। আমাকেও উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছিল দল। তেমনই আটটি রাজ্যের বুথ সশক্তিকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। সেই কাজ হয়ে গেলে দিলীপদা যেমন বাংলার আনাচে কানাচে ঘোরেন তেমনই ঘুরবেন।”

[আরও পড়ুন: নেতাদের হাল হকিকত জানতে নয়া পদক্ষেপ, সমীক্ষা করে ব্লক সভাপতি চূড়ান্ত করছেন অভিষেক]

বঙ্গ বিজেপিতে আদি নেতাদের পক্ষে সওয়াল করে নব্য ও তৎকালদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন দিলীপ। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা আবার সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। দিলীপ শিবিরের দাবি, দলের পুরনো নেতাদের পক্ষে কথা বলে বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের চক্ষুশূল হয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। বৃহস্পতিবারই দিলীপ স্পষ্ট বলে দেন, কোথাও যাচ্ছেন না, বাংলাতেই আছেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে একাধিক সময়ে বিতর্কও হয়েছে। তাঁর এই সোজাসাপটা কথা বলা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও অনেকে সমালোচনা করেছেন। এমনকী, তাঁর নামে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও করেছেন বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের অনেকেই।

[আরও পড়ুন: দুই কিশোরের প্রাণহানির জের, রবীন্দ্র সরোবরে আপাতত বন্ধ রোয়িং অনুশীলন]

সেই প্রসঙ্গে দিলীপের জবাব, তিনি বুক চিতিয়ে, চোখে চোখ রেখে লড়াই করেন। কেউ বললেই তিনি পালটে যাবেন বলে যাঁদের ধারণা, তাঁরা সেই ধারণা পালটে ফেলতে পারেন। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দাবি, “আমি যদি ভুল থাকতাম তাহলে পার্টি এগোত না।” যাঁরা তাঁর সমালোচনা করেন সেই তথাগত রায় বা আরও অনেক নব্য নেতা তাঁদের নাম না করেই দিলীপ ঘোষ বলেন, ওইসব লোকেদের কোনও যোগ্যতা নেই। তাদের পাত্তা দিই না। নাম মুখে নিই না। এরা পার্টিকে কী দিয়েছে। বঙ্গ বিজেপির টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ৭ জুন কলকাতায় কার্যকারিণী বৈঠকে থাকবেন নাড্ডা। ৬ জুনই তাঁর রাজ্যে চলে আসার কথা রয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement