সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে এবার সোজাসাপ্টা নিজের মতপ্রকাশ করে ফেললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর সাফ বললেন, ”দলে প্রবীণদের দরকার অবশ্যই। তবে ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। কারণ বয়স হলে মানুষের কাজের ক্ষমতা কমে যায়। সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।” তবে কি আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়স একটা ফ্যাক্টর হবে? তাতে অভিষেকের জবাব, ”সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) ঠিক করবেন। আমার কাছে জানতে চাইলে, মতামত জানাব।”
সোমবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয়ে নিয়ে বক্তব্য দেন। তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি, বিজেপির জয় থেকে দলের বয়সসীমা, শুভেন্দুর সাসপেনশন-সহ নানা প্রসঙ্গে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। বয়সসীমা নিয়ে তাঁর সাফ বক্তব্য, ”শুধু দল বলে নয়, যে কোনও জায়গায় আমি মনে করি, উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রম একজন পঞ্চাশ বছরের মানুষ বা চল্লিশ বছরের মানুষ করতে পারেন, সেটা কোনও দিন আমার বয়স বেড়ে গেলে করতে পারব না। তবে প্রবীণদেরও প্রয়োজন। তাঁদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
[আরও পড়ুন: ‘ভুল শুধরে নিন’, তিন রাজ্যে পরাজয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা অভিষেকের]
এ প্রসঙ্গে অভিষেক কংগ্রেসের বৃদ্ধতন্ত্র নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, ”যেমন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব হয়ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্যই তরুণদের তেমন সুযোগ দেয় না। তাদের একপাশে সরিয়ে রাখে। কিন্তু যোগ্যতা থাকলে কাউকে ষড়যন্ত্র করে দমিয়ে রাখা যাবে না।” নতুন-পুরনো তৃণমূল নিয়ে যে আলোচনা চারপাশে চলছে, সেই বিষয় নিয়েও স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। জানান, ”নতুন তৃণমূল বা পুরনো তৃণমূল বলে কিছু নেই। আমি বলেছিলাম, যাঁরা ২০১১ সালে সিপিএমের ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে সরানোর জন্য রক্ত, ঘাম দিয়ে পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের দল ফের লড়াইয়ের সুযোগ দেবে। সেইমতোই কাজ হয়েছে। নতুন তৃণমূল মানে এমন নয় যে ২০,৩০ বা ৪০ বছরের লোকজন আলাদা দল করছে।”