সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা-বাবা, ছোট্ট এই শব্দেই সন্তানের গোটা বিশ্ব। আবার সন্তানই মা-বাবার সব। শরীরে যতই কষ্ট থাক, ছেলের তৈরি সিনেমা তো দেখতেই হবে। তাই তো হুইলচেয়ারে এসেই 'সন্তান' দেখলেন রাজ চক্রবর্তীর মা। মায়ের ভালো লাগাই ছেলে পরিচালক সন্তানের বড় প্রাপ্তি।
করোনার কোপে বাবাকে হারিয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। মাকে সারাক্ষণ আগলে রাখেন তিনি ও শুভশ্রী। নাতি যুবান ও নাতনি ইয়ালিনীরও খুব প্রিয় ঠাকুমা। সাদা-কালো শাড়িতে সেজে এসেছিলেন ছেলের তৈরি সিনেমা ও বউমার অভিনয় দেখতে। মা-বাবার আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে রাজের এই ছবি। যা দর্শকদের পাশাপাশি তাঁর অভিভাবকের মনও ছুঁয়ে গিয়েছে। বাড়তি পাওনা বউমার অভিনয়।
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ফ্যামিলি ড্রামা দর্শকদের দরবারে আনলেন রাজ চক্রবর্তী। ছবি বিষয় যেন বর্তমান সময়ের আয়না। বাবা-মায়ের (মিঠুন-অনসূয়া) সঙ্গে ছেলের (ঋত্বিক চক্রবর্তী) বনে না। ছেলে-দায়িত্ব পালন করে ঠিকই, মসোহারাও পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু বাড়তি কোনও কিছু দিতে সে রাজি নয়। স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে নিজের মতো থাকতে চায়। বাড়তি আবেগের লেনদেনে সে নারাজ। বাবা-মায়ের শত চেষ্টা সত্ত্বেও ছেলের ইমোশনাল আনঅ্যাভেবিলিটি বজায় থাকে। ঘটনা এমন মোড় নেয় যে পিতা, পুত্রের ওপর আইনি ব্যবস্থা নেয়।
ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মামলা? জয় কার হল তা সিনেমা হলে গিয়েই দেখতে হবে। শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অনসূয়া মজুমদার এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত সন্তান। মুক্তির আগে সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছবি প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এর রাজ বলেন, "মধ্যবিত্ত পরিবারে বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় ছেলে-মেয়ে কেবল কর্তব্য পালন করছে। কোনও মতে ফোনে অল্প কথা বলা, মাস গেলে একটা খোরপোশ পাঠিয়ে দেওয়া। বাড়তি খেয়াল বা প্রয়োজনের কথা মাথায় না রাখা। এদিকে নিজেদের শপিং, খরচ করে বেড়ানো কিংবা রেস্তরাঁয় যাওয়া সবই বহাল থাকে। এই ছবিতে বাবা যখন দেখে, মায়ের অসুস্থতার জন্য ছেলে দায়িত্ব নিতে রাজি নয়, তখন তাকে উচিত শিক্ষা দিতে উদ্যত হয়। বাঙালির গল্প। তবে প্যানপ্যানে নয়, পারফরম্যান্স নির্ভর।"