সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। আত্মীয়, অতিথিরা মেতেছিলেন আনন্দে। রীতিমতো ব্যান্ড পার্টির বাদ্যির মধ্যেই কনের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বরপক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল বিয়ে। অপমানিত বোধ করায় বিয়ে করবেন না বলে জানিয়ে দেন বর। এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুরে। কিন্তু বর হঠাৎ বিয়েতে গররাজি হলেন কেন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা বিয়ে বাতিল করে দেওয়া বরের নাম ধর্মেন্দ্র। নির্দিষ্ট দিনে সময় মতো ফারুকাবাদের কামপিল থেকে ‘বারাত’ বা বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করতে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। গন্তব্য ছিল সাহারানপুরের মির্জাপুর। সেখানেই কনের বাড়ি। পৌঁছেও গিয়েছিলেন সময় মতো। কিন্তু রীতি অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হতেই ঝামেলা বাধে, যখন বরযাত্রীদের সঙ্গে আসা ব্যান্ডপার্টির সদস্যরা প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে বলে কনেপক্ষকে। যদিও কনের পরিবার জানিয়ে দেয়, এই টাকা তারা দেবেন না, বরপক্ষকেই দিতে হবে। এদিকে বরের পরিবারও তা দিতে রাজি ছিল না। এই নিয়ে রীতিমতো বচসা শুরু হয়। তাতেই বেজায় বিরক্ত হন ধর্মেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: কাউন্সিলর থেকে রাজ্যপাল, আড়াই দশকের রাজনৈতিক জীবন, চিনে নিন দ্রৌপদী মুর্মুকে]
মির্জাপুর থানার এক আধিকারিক জানান, দু’পক্ষের বচসা চরমে পৌঁছলে বিয়ে মণ্ডপ ছেড়ে উঠে পড়েন ধর্মেন্দ্র। বারাত নিয়ে ফিরে যান। এমনকী রাগে গলার বিয়ের হারটিও ভেঙে ফেলেন তিনি। পরে কনেপক্ষও জানিয়ে দেয় এই পরিবারে তারা মেয়ের বিয়ে দেবে না।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হয়েই ঝাঁটা হাতে মন্দির চত্বর সাফাই দ্রৌপদীর, দিলেন পুজোও, ভিডিও ভাইরাল]
উত্তর ভারতে বিয়ে সংক্রান্ত এমন ঘটনা সামনে আসে মাঝেমাঝেই, যা ভূভারতের অন্য প্রদেশে তত দেখা যায় না। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক তরুণী ট্রাক্টরে চেপে বিয়ে মণ্ডপে হাজির হয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, দিব্যি সাজগোজ করা কনে নিজেই ট্রাক্টর চালিয়ে ছাদনাতলায় হাজির হচ্ছেন। পরনে লাল রঙের লেহেঙ্গা, চোখে কালো সানগ্লাস। কতকটা হিন্দু সিনেমার হিরোদের কায়দায় এন্ট্রি নিতে দেখা যায় সেদিনের ‘হিরোইন’কে।