সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে নিজেদের সরকারের ব্যর্থতা নিজেরাই মানল কংগ্রেস। সরকারের সংকট (Himachal Congress crisis) কাটাতে দক্ষিণ ভারত থেকে ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ ডিকে শিবকুমারকে হিমাচলে পাঠিয়েছিল কংগ্রেস। প্রায় দেড়দিন দলের বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি দাবি করলেন, সরকার নিরাপদ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন, সেটাও মেনে নিয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar) জানিয়েছেন, তাঁরা দলের সব বিধায়কদের সঙ্গে একে একে কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেছেন। আরও আলোচনা হবে। দলের অন্দরে বিধায়কদের ক্ষোভ ছিল। আর সরকারের কোনও কোনও জায়গায় ব্যর্থতা ছিল, সেটা মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন। এরপরই শিবকুমারের আত্মবিশ্বাসী ঘোষণা, “আমাদের সরকার সুরক্ষিত। এবং পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করবে।”
[আরও পড়ুন: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে অপহৃত এসপি! অস্ত্র নামিয়ে প্রতিবাদ কমান্ডোদের]
সরকার নিরাপদ। শিবকুমার ঘোষণা করলেন বটে, কিন্তু সত্যি কি তাই? কী বলছে হিমাচলের সংখ্যাতত্ত্ব? এদিন সকালেই সরকার বাঁচাতে ‘বিদ্রোহী’ ছয় বিধায়ককে বরখাস্ত করেছে কংগ্রেস (Congress)। ফলে ৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় আপাতত ৩৪ জন বিধায়ক রয়েছে কংগ্রেসের। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) বিধায়কের সংখ্যা ২৫। তবে কংগ্রেস সরকারের উপর এখনই কোনও সংকট আসছে না। কারণ, ৬ বিধায়ক সাসপেন্ড হয়ে যাওয়ায় হিমাচল বিধানসভার মোট বিধায়ক সংখ্যা এই মুহূর্তে ৬২। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাজিক ফিগার নেমে আসছে ৩২-এ। আর কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৩৪ জন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: উদ্ধার করেছিলেন উত্তরকাশীর শ্রমিকদের, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সেই যুবকের বাড়ি]
তবে সংকট আপাতত কাটলেও লোকসভার (2024 Lok Sabha Election) পর যে ফের সেরাজ্যে অপারেশন কমলের চেষ্টা হবে না, সেটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ফলে এই ‘দুর্বল’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সুখুর সরকার আদৌ পাঁচ বছর টিকবে কি? সেই প্রশ্ন থাকছেই।