shono
Advertisement

Breaking News

Do Aur Do Pyaar Review

শুধু ভালোবাসা থাকলেই কি সম্পর্ক টিকে থাকে? উত্তর খুঁজল 'দো অউর দো প্যায়ার', পড়ুন রিভিউ

'দো অউর দো প্যায়ার' একেবারেই অভিনয় নির্ভর ছবি।
Posted: 05:27 PM Apr 24, 2024Updated: 06:48 PM Apr 24, 2024

আকাশ মিশ্র: 'প্রাক্তন' ছবিতে অভিনেত্রী অপারিজা আঢ্য বলেছিলেন, ''অ্য়াডজাস্টমেন্ট মানে হেরে যাওয়া নয় দিদিভাই, সুন্দর করে বাঁচা!'' হয়তো অপরাজিতার মুখের সেই সংলাপই সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছিল ছবির পর্দায়। পরিচালক শীর্ষা গুহঠাকুরতার 'দো অউর দো প্যায়ার' ছবির সেই ভিতও কিন্তু 'মেনে নেওয়া'র ফমূর্লার উপর নির্ভর করে। তবে পরিচালক এই ছবির ক্ষেত্রে আরও তিন বিষয়কে টেনে আনলেন, তা হল 'মনের মিল' ও 'মন খোলা কথা'। আর জীবনের প্রতিটি  পরিবর্তনের মাঝেও সম্পর্ককে নতুন করে খুঁজে পাওয়া। এই খোঁজের গল্পই টদো অউর দো প্যায়ারট। যেখানে কাব্য (বিদ্যা বালান) ও অনির (প্রতীক গান্ধী) দাম্পত্যে এক মুঠো অক্সিজেন হয়ে আসে নোরা (ইলিয়ানা) এবং বিক্রম (সন্ধিল)। এই ফ্রেশ হাওয়ায় তাঁদের এতদিনের প্রেম, পালিয়ে বিয়ে করার রোমাঞ্চ, সব যেন উবে গিয়ে, আটকে পড়ে ইলেকট্রিক বিল, বেগুন পোস্তো এবং দৈনন্দিন কাজে। আর উলটো দিকে পরীর সাজে অনির সামনে এসে দাঁড়ায় সুন্দরী নোরা। অন্যদিকে, বিদেশি ফটোগ্রাফার বিক্রম এক মুঠো নীল সমুদ্র দেওয়ার কথা দেয় কাব্যকে। অন্যদিকে, বিদেশি ফটোগ্রাফার বিক্রম এক মুঠো নীল সমুদ্র দেওয়ার কথা দেয় কাব্যকে। অনির সঙ্গে বিয়ে ভেঙে উড়ান দিতে যায় কাব্য। কিন্তু সেকথা অনিও বলতে পারে না কাব্যকে। কাব্যও চুপ থেকে যায়। বরং তাঁদের মনে জমে থাকা অভিমান বাঁধ ভাঙে, সেই পুরনো সুতোর টানে। এক মৃত্যুর সঙ্গে জীবন জড়িয়ে কাব্য ও অনি যেন পুরনো সব আকর্ষণ ফিরে পায়। একটু একটু করে গোছাতে থাকে তাঁদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দাম্পত্যকে। কিন্তু তখনই ঝড় ওঠে। ঝড় নিয়ে আসে সেই নোরা ও বিক্রম নামক অক্সিজেন।

Advertisement

সম্পর্কের এমনই এক জটিল গল্পকে খুব যত্নে চিত্রনাট্যে বুনেছেন অমৃতা বাগচী, ইশা চোপড়া এবং সুপ্রতীম সেনগুপ্ত। শুধুই প্রেম নয়, আবেগের ওঠানামাকেও চিত্রনাট্য়ে দারুণ করে উপস্থাপনা করেছেন তাঁরা। সঙ্গত দিয়েছেন পরিচালক শীর্ষা এবং অবশ্যই বিদ্যা ও প্রতীক।

[আরও পড়ুন: ‘দাবাড়ু’র টিজারেই কিস্তিমাত! মিলল বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্যশেখরের জীবনযুদ্ধের ঝলক]

'দো অউর দো প্যায়ার' একেবারেই অভিনয় নির্ভর ছবি। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় বিদ্য়াকে। প্রতিটি ফ্রেমে তিনি অনবদ্য। যেমন কমিক রিলিফে, তেমনই ইমোশনাল দৃশ্যে। বিদ্য়ার মতো শক্তপোক্ত অভিনেত্রীর পাশে চ্য়ালেঞ্জ নিয়ে অভিনয় করেছেন প্রতীক গান্ধী। অনেক সময়ই শুধু চোখ দিয়ে অভিনয় করেছেন প্রতীক। যা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। সন্ধিল ও ইলিয়ানা ছবিতে শুধুই অনুঘটক।

তবে ছবির দৈর্ঘ্য আরও একটু কম হতে পারত। অনেক দৃশ্যই অযথা মনে হয়েছে। সম্পাদনাও আরও একটু যত্ন থাকা উচিত ছিল। সবশেষে বলা যায়, সম্পর্ক, ভালোবাসা এবং একসঙ্গে থাকা, বিশেষ করে কমিটমেন্টের এক অন্যরকম গল্প বলে 'দো অউর দো প্যায়ার'। যা কিনা বলিউডের অন্যান্য সম্পর্কের গল্প থেকে অনেকটাই আলাদা। 

[আরও পড়ুন: রাজনীতিতেও কঙ্গনার প্রতিপক্ষ ‘নেপো কিড’! ‘বাপ-ঠাকুরদার সম্পত্তি নাকি?’ ফুঁসছেন পদ্মপ্রার্থী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement