রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই৷ পশ্চিমবঙ্গকে বাদ রেখে লোকসভা নির্বাচন করা হোক৷ সোমবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে এমনই দাবি জানিয়ে এলেন রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের অভিযোগ, কালো তালিকাভুক্ত পুলিশ কর্তাদের এই নির্বাচনে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই, স্বচ্ছ ও স্বতন্ত্র নির্বাচনের জন্য এরাজ্যে ভোট পিছিয়ে দেওয়া উচিত৷
[ম্যানহোল থেকে উদ্ধার ভ্রূণ, তদন্তে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ ]
সোমবার এই সমস্ত দাবি-দাওয়া পেশ করার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ৷ রবিবার রাজ্যজুড়ে বাইক মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা৷ যাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির অভিযোগ এসেছে৷ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সেই বিষয়ে অভিযোগ করেন মুকুল রায়৷ তিনি বলেন, “পুলিশ যে ভাবে আমাদের বাইক মিছিলে হামলা করেছে, তা গণতন্ত্রের বিরোধী। যে সমস্ত থানার ওসিরা একাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।’’ বিতর্কে জড়ানোর পর সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজীব কুমারকে৷ এদিন সেই প্রসঙ্গও টানেন মুকুল রায়৷ তিনি অভিযোগ করেন, বদলির আড়ালে আসলে পিছনের দরজা দিয়ে এই সমস্ত কালো তালিকাভুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার৷ এখানেই শেষ নয়, দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে কমিশনের সামনে ধরনায় বসারও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷
[শিয়ালদহ স্টেশনে ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক! হাতনাতে ধরল আরপিএফ]
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্য বিরোধীদেরও একহাত নেন মুকুল রায়৷ জানান, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন করে, আসলে সেনাকে অপমান করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি অভিযোগ করেন, এরাজ্যে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করলে গ্রেপ্তার ও আটক হতে হয়৷ রাজ্যে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ হচ্ছে৷ পাশাপাশি তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের সম্পূর্ণ ভার দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের কাউকে নাম সুপারিশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।